মহারাষ্ট্রের ভোটে দর কষাকষির জেরে ভেঙে গিয়েছে রাজ্যে শিবসেনা-বিজেপির ২৫ বছরের পুরনো জোট। কিন্তু দিল্লিতে এনডিএ থেকে সরে আসতে গিয়ে এখন নতুন করে লাভক্ষতির অঙ্ক কষছে শিবসেনা। একই ছবি ফুটে উঠছে কংগ্রেস-এনসিপি শিবিরেও।
শিবসেনার থেকে মোদী মন্ত্রিসভায় রয়েছেন অনন্ত গীতে। জল্পনা চলছে, কবে তিনি ইস্তফা দিতে চলেছেন? এ নিয়ে শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে জানান, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনার পরেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” তাঁর কথায় ইঙ্গিত, কেন্দ্রে এখনই মোদীর হাত ছাড়তে চাইছে না শিবসেনা।
উদ্ধব যদিও কালই জানিয়েছিলেন, মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন গীতে। তবে এ দিন বালসাহেব পুত্রের মন্তব্য, “এনডিএ-তে যোগ দেওয়া আর জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া অত সহজ ব্যাপার নয়। কেন না, লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে যারা জিতেছেন বা হেরেছেন, তাঁরা সকলেই বিজেপি ও শিবসেনার ভোট পেয়েছেন।” ফলে “নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনা করে, আর সমর্থকদের ভাবনাকে মাথায় রেখেই শিবসেনা সিদ্ধান্ত নেবে।” বলেন উদ্ধব।
মহারাষ্ট্রে জোট ভেঙেও দিল্লিতে ক্ষমতায় টিকে থাকতে শিবসেনা মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বলে কালই আক্রমণ শানিয়েছিলেন এমএনএস নেতা রাজ ঠাকরে। তার জেরে শিবসেনার শীর্ষনেতা মন্ত্রিসভা থেকে গীতের ইস্তফার সিদ্ধান্তের কথা জানান। কিন্তু দলে এ নিয়ে আবারও নতুন করে যে চিন্তাভাবনা চলছে, উদ্ধবের আজকের কথাতে তা স্পষ্ট। গীতেও জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এখনও পর্যন্ত দলের থেকে কোনও নির্দেশ পাননি। ফলে তাঁর ইস্তফার কথা উঠছে না।
এ দিকে, এনসিপির মতো দল বিজেপির হাত ধরতে পারে বলে যে জল্পনা চলছে, আজ সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন শরদ পওয়ার। বলেন, “মহারাষ্ট্রে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির জোট চায় এনসিপি। বিজেপির সঙ্গে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।” সূত্রের খবর, সংখ্যালঘু ভোটের দিকে তাকিয়েই এনসিপি এমন বক্তব্যকে সামনে নিয়ে আসতে চাইছে। এমনকী, এখন না হলেও কংগ্রেসের সঙ্গে ভোট পরবর্তী সময়ে সমঝোতার রাস্তা খোলা থাকছে বলেই পওয়ার জানিয়েছেন।
বিধানসভা ভোট ১৫ অক্টোবর। দুই শিবিরেই জোট ভেঙে যাওয়ায় এ বার চর্তুমুখী লড়াই হবে। তবে জোট ভেঙে ভোটে গিয়েও এখন সব দলই পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে পুরোপুরি বিচ্ছেদ চাইছে না। হাত ধরার রাস্তা খুলে রাখতে চাইছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy