বাংলাদেশের মাটিতে সক্রিয় ভারত-বিরোধী ৬৬টি জঙ্গি সংগঠনের গোপন ঘাঁটি ও প্রশিক্ষণ শিবিরের তালিকা পড়শি ওই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-র হাতে তুলে দিল বিএসএফ। মেঘালয়ে দু’দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে তিন দিনের বৈঠকে জঙ্গি শিবির ছাড়াও অনুপ্রবেশ, মাদক ওষুধ, গরু ও জাল নোট পাচারের বিষয়েও আলোচনা হয়।
বিএসএফ আইজি সুধীরকুমার শ্রীবাস্তব জানান, গোয়েন্দা সূত্রে সংগৃহীত আলফা (স্বাধীন), এনডিএফবি (সংবিজিৎ), এএনভিসি (বি), এইচএনএলসি, এনএলএফটি-সহ অন্য জঙ্গি সংগঠনের ৬৬টি শিবিরের বিষয়ে বিজিবি-র হাতে তথ্য তুলে দেওয়া হয়েছে। শিবিরগুলির সম্পর্কে বিশদে জানতে চেয়েছে বিজিবি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের ওই বাহিনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, জঙ্গি শিবির ধ্বংস এবং চোরাচালান রুখতে তারা বিএসএফ-কে সাহায্য করবে। বিএসএফ জানিয়েছে, ওই জঙ্গি ঘাঁটিগুলি মূলত ময়মনসিংহ, মৌলভিবাজার, নেত্রকোনা, রাঙামাটি, কাসালং অরণ্যে রয়েছে।
সীমান্তের ওপার থেকে ভুয়ো ভারতীয় মুদ্রার পাচার নিয়েও বিজিবিকে সতর্ক করেছে বিএসএফ। গত বছর, বিএসএফ প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ টাকার জাল ভারতীয় নোট আটক করেছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ব্যবহার করে ফেন্সিডিলের মতো কাশির ওষুধ ও অন্যান্য মাদকের চোরাচালান যে হারে বাড়ছে তা নিয়েও চিন্তিত দু’পক্ষই। বিএসএফ সূত্রের খবর, গত বছর প্রায় ৫ লক্ষ বোতল ফেন্সিডিল সীমান্তে আটক করা হয়েছে। তা ছাড়া, বাংলাদেশের দুষ্কৃতী ও চোরাশিকারিরা ভারতে ঢুকে ডাকাতি, শিকার করে পালাচ্ছে।
বিএসএফের আইজি জানান, অপরাধমূলক কাজকর্ম, পাচার মোকাবিলার ক্ষেত্রে বড় সমস্যা নদী-সীমান্ত। দু’দেশের সীমান্ত সংলগ্ন স্থলভাগে কাটাতাঁর থাকলেও, নদী পথে ১৩টি জায়গা অসুরক্ষিত। সীমান্তে গুলিচালনা ও খুনের ঘটনা নিয়ে বিশেষ বৈঠকও হয়। বিএসএফের দাবি, অধিকাংশ সময় অনুপ্রবেশকারীদের উপরে স্থানীয় গ্রামবাসীরাই গুলি চালিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy