Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

ত্রিপুরায় ক্ষুব্ধ কংগ্রেস, তৃণমূল

ত্রিপুরায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস। আজ পৃথক দু’টি সাংবাদিক সম্মেলনে দু’দলের শীর্ষ নেতারা জানান, লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার দু’টি আসনে যে ভাবে ভোট হয়েছে, তা প্রহসনমাত্র। ভোটের ফলে রাজ্যবাসীর ‘প্রকৃত মতামত’ জানা যাবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান রতন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘ত্রিপুরার দু’টি আসনেই আমরা ফের নির্বাচন চাই।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা
আগরতলা শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৪ ০৪:৩২
Share: Save:

ত্রিপুরায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস।

আজ পৃথক দু’টি সাংবাদিক সম্মেলনে দু’দলের শীর্ষ নেতারা জানান, লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার দু’টি আসনে যে ভাবে ভোট হয়েছে, তা প্রহসনমাত্র। ভোটের ফলে রাজ্যবাসীর ‘প্রকৃত মতামত’ জানা যাবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান রতন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘ত্রিপুরার দু’টি আসনেই আমরা ফের নির্বাচন চাই।’’

বিরোধী নেতাদের অভিযোগ, ৭ এবং ১২ এপ্রিল রাজ্যের দু’টি আসনে ভোট গ্রহণের সময় ৫০ শতাংশ বুথে তারা পোলিং এজেন্ট দিতে পারেনি। শাসক দলের ‘সন্ত্রাসে’ বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টরা বুথে থাকতে পারেনি। কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক সিনহা বলেন, ‘‘সিপিএমের পোলিং এজেন্টের উপস্থিতিতে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ বুথে প্রিসাডিং অফিসার, পুলিশ নীরব দর্শক ছিল।” ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের ক্ষোভ নির্বাচন কমিশনকে নিয়েও। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, কমিশনের কাছে বার বার তথ্য ও প্রমাণ-সহ অভিযোগ জানানো হয়েছে। কী ভাবে রাজ্যের ভোটার তালিকায় কারচুপি করা হয়েছে, কী ভাবে শাসক দলের হয়ে সরকারি কর্মী ও রাজ্য পুলিশ ভোট কারচুপিতে সাহায্য করেছে সব বিষয়ই কমিশনকে জানানো হয়। কিন্তু কমিশন কোনও পদক্ষেপ করেনি প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ।

অশোকবাবুর দাবি, কোনও গণতান্ত্রিক দেশে এ ভাবে নির্বাচন হয় না। ভোট প্রক্রিয়ায় পুলিশ নীরব দর্শক ছিল। শাসক দলের প্রতিনিধিরা নিজেদের মতো করে বুথে বুথে ভোটারদের প্রভাবিত করেছেন। কংগ্রেস জানিয়েছে, কমিশনের ‘ব্যর্থতা ও পক্ষপাতিত্বের’ অভিযোগ রাষ্ট্রপতিকে জানানো হবে।

তৃণমূলের অভিযোগ, ভোট নিয়ে কমিশনের কাছে ২৮টি অভিযোগ করা হয়েছিল। একটারও সুরাহা করা হয়নি।

রাজ্যের যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দেবাশিস মোদক বলেন, ‘‘ভোটের দিন দফতরে কোনও অভিযোগ আসেনি।’’

ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আশুতোষ জিন্দালের ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দু’টি বিরোধী রাজনৈতিক দল। তৃণমূল নেতা রতন চক্রবর্তীর অভিযোগ, কমিশনের শীর্ষ কর্তাও তৃণমূলের কোনও অভিযোগে গুরুত্ব দেননি। শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বলে সাফাই গেয়েছেন। কার্যত তিনি শাসক দলের ‘হাতের পুতুলে’ পরিণত হয়েছেন।

রাজ্য সিপিএমের মুখপাত্র গৌতম দাস কংগ্রেস ও তৃণমূলের অভিযোগে গুরুত্ব দেননি। তিনি বলেন, ‘‘ভোটের তিন দিন বাদে এ সব কথা বলে কী লাভ? রাজ্যের মানুষ দু’টি দলকেই প্রত্যাখ্যান করেছেন। এটা আঁচ করেই তাঁরা ভিত্তিহীন কথা বলছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

congress tmc loksabha election
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE