সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র হাতে পেয়েই ‘আক্কেল গুড়ুম’ বরাকবাসীর।
তাঁদের অভিযোগ, পরিচয়পত্রের লেখায় ভুলের ছড়াছড়ি। ছবিতেও নিজেকে চেনার উপায় নেই। কোনটা মেয়ের, কোনটা মায়ের অনেক ক্ষেত্রে তা-ও বোঝা যাচ্ছে না! এ নিয়ে উৎকণ্ঠায় উপত্যকার ভোটারদের একাংশ। তবে জেলাশাসক আশ্বাস দিয়েছেন, লোকসভা ভোটের পরই ত্রুটিপূর্ণ পরিচয়পত্রগুলি ফেরত নিয়ে সংশোধন করে দেওয়া হবে।
সন্দেহজনক ভোটার (ডি-ভোটার) হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় অসমের বাঙালিদের কাছে ভোটার তালিকার গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। ভোটার তালিকা প্রকাশিত হলেই, লম্বা লাইন পড়ে ভোটকেন্দ্রগুলিতে। প্রতি বারই নতুন করে অনেকের নামের পাশে ‘ডি’ অর্থাৎ ‘ডাউটফুল’ লেখা হয়। এ বারই বরাকে প্রথম সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র দেওয়া হল। তা হাতে না-পাওয়া পর্যন্ত উৎকণ্ঠায় ছিলেন সবাই। অপেক্ষার শেষ হল বটে, কিন্তু চিন্তা পুরোপুরি গেল না।
ভোটারদের কাছ থেকে পাসপোর্ট আকারের ছবি নিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন দফতর। অভিযোগ উঠেছে, কম্পিউটারের সাহায্যে পরিচয়পত্রগুলিতে মাপমতো ছবি বসাতে গিয়ে কারও কারও চোখমুখের আকৃতিই বদলে গিয়েছে। লেখাতেও অনেক ভুল রয়েছে।
প্রাক্তন পুর সদস্য মানিক দাস বলেন, “আমার কার্ডে মানিকের বদলে মনিক লেখা ছিল। ভেবেছিলাম, আমার পরিচয়পত্রেই হয়তো সামান্য ভুল হয়ে গিয়েছে। পরে জানলাম, ছেলেমেয়ের কার্ডও নির্ভুল নয়।” মানিকবাবু জানান, তাঁর এলাকায় অনেকেরই একই সমস্যা হয়েছে। বানান ভুল, বয়সও। অনেকের কার্ডে স্বামীর নামে বাবার নাম লেখা রয়েছে। উল্টোও ঘটেছে।
এসইউসিআই নেতা আশু চৌধুরী জানান, সইদপুর পঞ্চায়েতের বড়বন্দ গ্রামের সবার ভোটার পরিচয়পত্র নিয়ে তাঁরা নির্বাচনী অফিসারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অন্তত একটি সঠিক কার্ড খুঁজে বের করে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ জানানো হয়। ওই অফিসার অবশ্য দ্রুত ভুল শুধরে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে রেহাই পান।
এ বিষয়ে কাছাড়ের জেলাশাসক গোকুলমোহন হাজরিকা জানান, লোকসভা নির্বাচনে এ জন্য ভোট দিতে কোনও সমস্যা হবে না। এ নিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলবেন। নির্বাচনের পর পরিচয়পত্রগুলি সংশোধন করার ব্যবস্থার আশ্বাস দেন জেলাশাসক। তাঁর কথায়, “তড়িঘড়ি কার্ডগুলি তৈরি করতে যাওয়ায় কিছু ভুলত্রুটি হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy