বিমান মাটি ছাড়ার আগে বিমানসেবিকাদের গলায় হয়তো এ বার শোনা যাবে, “দয়া করে আপনার মোবাইল ফোনটি ফ্লাইট মোডে রাখুন।”
‘সিভিল অ্যাভিয়েশন রিকোয়ারমেন্ট’ (সিএআর) অনুযায়ী, এত দিন বিমানের মধ্যে কোনও রকম ছোট (পোর্টেবল) বৈদুতিন যন্ত্রপাতি চালু রাখা নিয়মবিরুদ্ধ ছিল। আজ ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন’ (ডিজিসিএ)-এর পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, পুরনো সেই নিয়ম সংশোধন করা হবে। এ বার দেশের মধ্যে যে কোনও উড়ানেই মোবাইল, ল্যাপটপ কিংবা ট্যাবলেট চালু রাখা যাবে। তবে অবশ্যই নন-ট্রান্সমিটিং ফ্লাইট মোডে।
এই অবস্থায় যন্ত্রগুলি থেকে কোনও সিগনাল যাবে না। নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে ফোন, ল্যাপটপ। ফলে মোবাইলে কোনও ফোন আসবে না। আবার কোনও ফোন করাও সম্ভব হবে না। ব্যবহার করা যাবে না ব্লু-টুথ কিংবা ওয়াইফাই। শুধুমাত্র গান শোনা যাবে ও খেলা যাবে। চালু রাখা যাবে ক্যামেরাও। ল্যাপটপে কোনও ফিল্ম আগে থেকে লোড করা থাকলে, তা দেখতে পারবেন যাত্রীরা। ল্যাপটপে নিজেদের কাজও সারতে পারবেন। এ ছাড়া, কোনও বিমান যখন বিমানবন্দরে নামবে, কোনও যাত্রী চাইলে ই-মেল করতে পারবেন।
ডিজিসিএ-র কাছে উড়ান সংস্থাগুলির দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ‘সিএআর’ নিয়ম লঘু করার। গত বছর ডিসেম্বর থেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ মোবাইল ফোন ফ্লাইট মোডে রাখার অনুমতি দিয়েছে। কিছু সস্তার ইউরোপীয় ও মার্কিন বিমানগুলিতে একই ভাবে নিয়ম লঘু করা হয়েছে। গত সপ্তাহে একটি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এ বার একই কাজ করল ডিজিসিএ-ও।
প্রশ্ন উঠছে, এতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কোনও ভাবে বিঘ্নিত হবে কি না। পাইলটদের একাংশের মতে, “এত দিন ফোন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হত। কিন্তু নতুন নিয়ম কার্যকর হলে, লোককে ফ্লাইট মোড বোঝাতে বোঝাতেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।
সকলে মোবাইল ফোন সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন নন। কোথায় ফ্লাইট মোড ব্যবস্থাটি রয়েছে, তা খুঁজে বার করার আগেই হয়তো ফোন আসতে শুরু করবে। এতে বিমানচালকদের এটিসি-র সঙ্গে যোগাযোগ করতে অসুবিধা হবে।”
এ বিষয়ে কী বলছে ডিজিসিএ? তাদের একটাই জবাব সমস্যার সমাধানে এখন পুরোদমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বিমানসেবিকাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy