বুধবার রাতে হামলা হয় ওই পানশালায়। ছবি: এপি।
ক্যালিফোর্নিয়ার পানশালায় বন্দুকবাজ হামলা। তাতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন এক পুলিশকর্মীও। পানশালার ভিতর থেকে ওই বন্দুকবাজের দেহও মিলেছে। তবে এখনও পর্যন্ত তাকে শনাক্ত করা যায়নি।
লস অ্যাঞ্জেলস থেকে ৬৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে থাউজ্যান্ড ওকস এলাকার ‘বর্ডারলাইন বার অ্যান্ড গ্রিল’পানশালার ঘটনা। বুধবার রাতে কলেজ পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠান ছিল সেখানে। তা দেখতেইহাজির হয়েছিলেন প্রায় ২০০ মানুষ।
স্থানীয় সময় রাত সওয়া ১১টা নাগাদ কালো পোশাক পরিহিত এক বন্দুকবাজ সেখানে ঢোকে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সে। আচমকা গুলির শব্দে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় চারিদিকে।
আরও পড়ুন: প্রশ্নবাণে অস্থির ট্রাম্প, সাংবাদিকের প্রবেশপত্র বাতিল করল প্রশাসন
খবর পাওয়ার তিন মিনিটের মধ্যে সেখানে হাজির হয় পুলিশ। গুলিবর্ষণ চলাকালীনই পুলিশের এক কর্মীকে নিয়ে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন ভেঞ্চুরা কাউন্টি শেরিফের নিরাপত্তাকর্মী ২৯ বছর বয়সী রন হিলাস। গুলিবিদ্ধ হন তিনি। একাধিক গুলি লাগে তাঁর শরীরে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে।
পরে ঘটনাস্থলে হাজির হয় আরও পুলিশকর্মী। বন্দুকবাজের সঙ্গে কিছু ক্ষণ গুলি বিনিময় হয় তাঁদের। গুলির আওয়াজ বন্ধ হলে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। সেখানে বেশ কিছু রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। যার মধ্যে ওই বন্দুকবাজের দেহও ছিল। তবে পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে, না কি সে আত্মঘাতী হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়। তার দেহের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
ভেঞ্চুরা কাউন্টি শেরিফ জেফ ডিন জানান, প্রতি বুধবার কান্ট্রি মিউজিকের আসর বসে ওই পানশালায়। স্থানীয় পড়ুয়াদের মধ্যে যা অত্যন্ত জনপ্রিয়। নিহতদের মধ্যে ১১ জনই স্থানীয় পেপারডাইন ইউনিভার্সিটির পড়ুয়া। জখম হয়েছেন আরও ১০-১২ জন। গুলির আওয়াজ শোনামাত্র বাইরে বেরিয়ে আসায় অনেকে রক্ষা পেয়েছেন। গুলি চালানোর আগে ওই বন্দুকবাজ পানশালায় গ্রেনেড ফাটায় বলে পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে। তার ফলেধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক। তাই গুলির শব্দ কানে এলেও প্রথমেকিছু ঠাহর করে উঠতে পারেননি কেউ।
হামলার পর থমথমে গোটা এলাকা।
আরও পড়ুন: মাটিতে শুয়ে প্রতিবাদ, চাকরি গেল ছয় বিমানকর্মীর
ওই বন্দুকবাজের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি ওই পানশালা এবং এলাকার কোথাও কোনও বোমা বা বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখা হয়েছি কি না তা-ও দেখা হচ্ছে। আমেরিকার সবচেয়ে নিরাপদ এলাকা বলে পরিচিত থাউজ্যান্ড ওকস। এই প্রথম সেখানে এমন ঘটনা ঘটল। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় মানুষ। তাঁদের আশ্বাস জুগিয়েছেন মেয়র অ্যান্ডি ফক্স। মৃতদের পরিবার পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy