সারা দিনে তো কত চিঠিই পান। টাইপ করা বা হাতে লেখা, ছবি আঁকা ও রংচঙে স্টিকার আটকানো। কোনও বাবা-মা আবার ছেলেমেয়ের হয়ে পাঠিয়ে দেন টুইটার বার্তা। তবে হাতেগোনা কয়েকটি চিঠি বা মেসেজ পড়েই উত্তর দেওয়া সম্ভব হয় তাঁর পক্ষে।
তিনি জে কে রোওলিং। হ্যারি পটারের স্রষ্টা। তাঁর জাদুলেখনীতেই প্রাণ পায় হগওয়ার্টস স্কুলের জাদুপড়ুয়ারা। এ বার সেই জাদুকাঠির ছোঁয়া লাগল কাশ্মীরের এক প্রত্যন্ত গ্রামের কিশোরী পড়ুয়ার মনেও।
গতকাল সন্ধেবেলা এক কাশ্মীরি স্কুলশিক্ষিকার করা টুইট সাড়া ফেলে দিয়েছিল নেটদুনিয়ায়। সাবা নামের সেই শিক্ষিকা কাশ্মীরের ডোডা জেলার ব্রেসওয়ানা গ্রামে একটি দাতব্য স্কুল চালান। স্কুলেরই ক্লাস সেভেনের ছাত্রী কুলসুম ‘আমার অনুপ্রেরণা’ নামে একটা রচনা লিখেছিল। ইংরেজিতে লেখা সেই রচনার অংশবিশেষ তুলে দিয়ে টুইট করেছিলেন সাবা। হ্যাশট্যাগ করে জুড়ে দিয়েছিলেন জে কে রোওলিংকেও।
কুলসুম লিখেছিল, ‘‘রোওলিং আমার অনুপ্রেরণা। তিনি দারুণ লেখেন, শুধু তাই জন্যই নয়। হাজার অসুবিধের সামনে পড়েও যে তিনি হাল ছেড়ে দেননি, তাই। আল্লার কাছে রোওলিংয়ের দীর্ঘ জীবন প্রার্থনা করি। আশা করি, বড় হলে তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাব।’’
ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই চলে আসে রোওলিংয়ের টুইট-উত্তর— ‘‘কুলসুমের পুরো নামটা আমায় মেসেজ করুন। ওকে একটা জিনিস পাঠাতে চাই।’’ কী উপহার পাঠাচ্ছেন রোওলিং, তা অবশ্য জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy