Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ট্রাম্পকে নালিশ করে বিপাকে প্রিয়া

হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের আলোচনাচক্রে যোগ দেওয়ার পরে বিভিন্ন দেশের নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের যে প্রতিনিধি দল হোয়াইট হাউসে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান, বাংলাদেশের প্রিয়াও তাতে ছিলেন।

প্রিয়া সাহা

প্রিয়া সাহা

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢাকা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৯ ০৩:৩৩
Share: Save:

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের দুর্দশার কথা বলতে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দরবারে। ঢাকার প্রিয়া সাহা সেখানে যে দু’তিনটি কথা বলতে পেরেছেন, তা নিয়ে বাংলাদেশ তোলপাড়। শাসক আওয়ামি লিগের সমর্থকেরা শনিবার ঢাকায় তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংশয় প্রকাশ করে বলেছেন, এটা সরকারকে বদনাম করার বৃহত্তর চক্রান্তের অংশ হতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও জানিয়েছেন, প্রিয়া দেশে ফিরলে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হবে, কী উদ্দেশ্যে তিনি এই কাজ করেছেন। এমনকি যে ‘হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ’-এর অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা, সেই সংগঠনও তাঁর বক্তব্যের দায় নিচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে দেশে ফিরে প্রিয়া বিপাকে পড়তে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন।

হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের আলোচনাচক্রে যোগ দেওয়ার পরে বিভিন্ন দেশের নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের যে প্রতিনিধি দল হোয়াইট হাউসে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান, বাংলাদেশের প্রিয়াও তাতে ছিলেন। প্রথম সুযোগেই তিনি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের দুরবস্থা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেন। ট্রাম্প জানতে চান, কারা এই নির্যাতন করে। প্রিয়া বলেন, এরা মুসলিম মৌলবাদী। কিন্তু সব সময়েই তারা রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়ে যায়। এর পরে অন্য দেশের প্রতিনিধিরা একে একে তাদের সমস্যার কথা জানান। কিন্তু ওই ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসতেই অভিযোগ ওঠে, সরকারকে বদনাম করতে তিনি এই কাজ করেছেন।

বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন প্রিয়ার বক্তব্যকে মিথ্যাচার বলে বর্ণনা করেন। তাঁর মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে বলে, ‘প্রিয়ার অভিযোগ কল্পিত ও বানানো’। শাসক দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘‘প্রিয়ার কাজ শুধু নিন্দনীয় অপরাধই নয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেশের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা মতলববাজ ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে সাহায্য করবে।’’ তিনি প্রিয়ার এই কাজকে দেশদ্রোহী বলে বর্ণনা করে জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও। এই নিয়ে বিতর্ক শুরুর পরে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারও বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশে ধর্মাচরণের স্বাধীনতা উদাহরণ হতে পারে।’ হিন্দু-বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘প্রিয়া আমাদের ১১ সাংগঠনিক সম্পাদকের এক জন হলেও তাঁর বক্তব্য একান্তই নিজস্ব। সংগঠন স্বীকৃতি দিচ্ছে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Awami League Minority Donald Trump Bangladesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE