ফুটেজে বন্দুকবাজ। এএফপি
রাতভর গুলির লড়াইয়ের শেষে আজ সকালে পুলিশের হাতে মৃত্যু হল তাইল্যান্ডের বন্দুকবাজ জাকাপন্থ তম্মার। গত কাল একটি সামরিক শিবিরের শীর্ষ সেনা অফিসারকে খুন করে অস্ত্রশস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে কোরাট শহরের বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালায় সার্জেন্ট মেজর তম্মা। তার গুলিতে গত কালই মৃত্যু হয়েছিল ২০ জনের। পুলিশ জানিয়েছে, আজ নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬। তার মধ্যে রয়েছে ১৩ বছরের এক কিশোর। আহত ৫৭।
এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুত চান-ওচা বলেছেন, ‘‘তাইল্যান্ডে এই হত্যালীলা নজিরবিহীন। আমি চাই এটাই যেন শেষ ঘটনা হয়।’’ তাঁর মতে, সম্পত্তি বেচা সংক্রান্ত কোনও চুক্তিতে ঠকে গিয়েই সম্ভবত রাগে হামলা চালিয়েছিল তম্মা। তবে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।
শনিবার লুট করা অস্ত্র ও গাড়ি নিয়ে কোরাটের রাস্তায় হামলা চালানোর সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা লাইভ দেখানোর ব্যবস্থা করেছিল ৩২ বছরের এই সার্জেন্ট মেজর। সেখানে দেখা গিয়েছে, হুড খোলা জিপে চড়ে, সেনার হেলমেট মাথায় দিয়ে এগিয়ে চলেছে তম্মা। আর একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, মাস্ক পরে পিস্তল উঁচিয়ে ছুটছে সে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলার আগে ফেসবুকে একটি পিস্তল ও বুলেটের ছবি পোস্ট করে সে লিখেছিল, ‘এ বার উত্তেজিত হওয়ার সময় এসেছে।’ বা ‘মৃত্যুর হাত থেকে কেউ বাঁচতে পারবে না’। ফেসবুকের তরফে জানানো হয়েছে, সেই ভিডিয়ো ও ছবিগুলি সরিয়ে দিয়েছে তারা। শনিবার রাত পর্যন্তও অনেক চেষ্টা করে ঘায়েল করা যায়নি ঘাতককে। সে যে শপিং মলটিতে ঢুকে পড়েছিল, তা চার দিক থেকে ঘিরে ফেলে সশস্ত্র বাহিনী। সে যাতে আত্মসমর্পণ করে, সে জন্য তার মা’কেও নিয়ে আসা হয়েছিল মলটিতে। যদিও তাতে সাড়া দেয়নি বন্দুকবাজ। গত রাতে প্রাণে বাঁচলেও তা বিশ্বাস করতে পারছেন না ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেকে। হামলার সময়ে জিমের শৌচাগারে লুকিয়ে পড়েছিলেন ৪৮ বছরের সত্তিয়ানি আনচালি। সেখান থেকেই ক্রমাগত গুলির আওয়াজ পেয়ে কেঁপে উঠেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘মনে হচ্ছে স্বপ্ন দেখছি। বিশ্বাস করতে পারছি না যে এখনও বেঁচে আছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy