রক্তাক্ত: সৌদি জোটের বিমান হানায় প্রাণ গিয়েছে ২৯টি শিশুর। পিকনিক সেরে ফিরছিল তারা। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে তাদের রক্তমাখা স্কুলব্যাগ। শুক্রবার ইয়েমেনের সাদায়। এপি
পিকনিক সেরে বাসে করে বাড়ি ফিরছিল বাচ্চাগুলি। কিন্তু বাড়ি পৌঁছনো আর হল না। তার আগেই সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হানায় উত্তর ইয়েমেনের সাদা প্রদেশের ডাহিয়ান বাজারের কাছে প্রাণ গেল তাদের মধ্যে ২৯ জনের। আহতের সংখ্যা ৪৮। তার মধ্যেও রয়েছে ৩০টি শিশু। ইয়েমেনে সৌদি হামলা নিয়ে বৈঠকে বসবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ।
বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় নিহতরা সকলেরই পনেরোর নীচে বলে রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি (আইসিআরসি) সূত্রে খবর। তবে এই সংখ্যা শুধুমাত্র আইসিআরসি-র হাসপাতালের। সাদার স্বাস্থ্য দফতরের অবশ্য দাবি, ওই ২৯ জন শিশু-সহ মোট নিহতের সংখ্যা ৪৩। আহত ৬১ জন। যদিও স্থানীয় মিডিয়ার মতে সংখ্যাটা আরও বেশি। যে বাসটির উপর হামলা হয় সেখানে ওই পিকনিক ফেরত শিশুরা ছাড়াও বহু সাধারণ মানুষ ছিলেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। বাসটিকে ডাহিয়ান বাজারের কাছে দাঁড় করিয়ে চালক কিছু ক্ষণের জন্য নেমেছিলেন। সেই সময়েই হামলাটি হয়।
এ দিনের হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন ওই অঞ্চলে ক্ষমতায় থাকা হুথি আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র মহম্মদ আব্দুল সালাম। ইয়েমেন সরকার সমর্থিত জোটের মুখপাত্র কর্নেল তুর্কি আল মালকি অবশ্য ঘটনাটিকে ‘বৈধ সামরিক অভিযান’ বলেই দাবি করেছেন। বুধবার রাতে দক্ষিণ সৌদির জিজ়ান শহরে হুথিদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হানার চক্রীদের মারতে এই হামলা চালানো হয়েছিল বলে জানান তিনি। ওই ঘটনায় প্রাণ হারান এক জন। আহত হন ১১ জন।
২০১৫ সালে পশ্চিম ইয়েমেনের বেশির ভাগ অঞ্চল দখল করে নেয় হুথি বিদ্রোহীরা। দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট আবদ্রাবু মনসুর হাদি। বিদ্রোহীদের মোকাবিলা করতে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি-সহ মোট সাতটি আরব দেশের সঙ্গে হাত মেলায় সরকার পক্ষ। তৈরি হয় জোট। রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জোট এবং হুথিদের যুদ্ধে গত কয়েক বছরে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত দশ হাজার মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy