Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে মৃত ৪০০ শরণার্থী

ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে অবৈধ ভাবে ইউরোপে ঢোকা ছিল লক্ষ্য। কিন্তু শেষমেশ তা হল না। লিবিয়া উপকূল থেকে ৬০ নটিক্যাল মাইল দূরে ডুবে গেল উদ্বাস্তু বোঝাই সেই নৌকা। রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী সংস্থা জানাচ্ছে, এই নৌকাডুবিতে অন্তত ৪০০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই সংস্থাই জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগেরই বয়স আঠারো পেরোয়নি। তালিকায় রয়েছে বেশ কিছু মহিলাও।

সংবাদ সংস্থা
রোম শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৫ ০২:২১
Share: Save:

ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে অবৈধ ভাবে ইউরোপে ঢোকা ছিল লক্ষ্য। কিন্তু শেষমেশ তা হল না। লিবিয়া উপকূল থেকে ৬০ নটিক্যাল মাইল দূরে ডুবে গেল উদ্বাস্তু বোঝাই সেই নৌকা। রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী সংস্থা জানাচ্ছে, এই নৌকাডুবিতে অন্তত ৪০০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই সংস্থাই জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগেরই বয়স আঠারো পেরোয়নি। তালিকায় রয়েছে বেশ কিছু মহিলাও। ইতালীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর তৎপরতায় ওই নৌকার দেড়শো জন যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে ৯ যাত্রীর দেহ। ইতালীয় নৌসেনা অবশ্য সেই সঙ্গেই জানিয়ে দিয়েছে যে জীবিত অবস্থায় আরও কোনও যাত্রীর উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। গত সোমবার ভূমধ্যসাগরে এই দুর্ঘটনা হলেও তা প্রকাশ্যে এসেছে আজ। ওই নৌকায় লিবিয়া-সহ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশের যাত্রী ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রপুঞ্জের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের আপাতত দক্ষিণ ইতালির রেগ্গিও ক্যালাব্রিয়ায় রাখা হয়েছে। তাঁদের থাকার জন্য জরুরি ভিত্তিতে আশ্রয় শিবির তৈরির জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে ইতালির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক। তবে ঘটা করে অবৈধ শরণার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করা নিয়ে প্রবল আপত্তি রয়েছে ইতালির বিরোধী শিবিরের। তাঁদের বক্তব্য, এ ভাবে সরকারই যদি দায়িত্ব নিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দেখভালের ব্যবস্থা করে, তা হলে
এটা ভবিষ্যতে অন্যদের দেশ ছাড়তে ইন্ধন দেবে।

ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে অবৈধ ভাবে ইউরোপে বিশেষত ইতালিতে ঢোকার হিড়িক অবশ্য নতুন নয়। দারিদ্র আর সংঘাতের আবহ থেকে মুক্তি পেতে আফ্রিকার বেশির ভাগ গরিব মানুষই এ ভাবে ইউরোপ পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে। লিবিয়ায় গদ্দাফি জমানার অবসানের পর থেকে সেখানকার প্রচুর মানুষ ইউরোপে চলে এসেছেন। গত বছরও ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে প্রায় তিন হাজার শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলির আশঙ্কা, এ বছর হয়তো অবৈধ অনুপ্রবেশের সব রেকর্ড ছাপিয়ে যেতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE