মৃত্যুর অপেক্ষা। ছবি: এএফপি।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে গত চার বছরে শুধু অপুষ্টিতে অথবা না খেতে পেয়ে পাঁচ বছরের নীচে অন্তত ৮৫ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে ইয়েমেনে। এক ব্রিটিশ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে। ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর পর্যন্ত করা সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
সঙ্কট এত ভয়ঙ্কর জায়গায় পৌঁছেছে ইয়েমেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর-শহর হোদেইদায় ফের সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে। রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং অন্য সব সংস্থার ত্রাণ এই শহরের মাধ্যমেই দেশে ঢুকত। কিন্তু এখানে আমেরিকা সমর্থিত সৌদি আরবের জোট বাহিনী এবং ইরান ঘেঁষা হুথি জঙ্গিদের সংঘর্ষ নতুন করে তীব্র আকার ধারণ করায় ইয়েমেনের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর জায়গায় চলে গিয়েছে। চার বছরের যুদ্ধে ১০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের মতে, দেশ এমন দুর্ভিক্ষ-পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে যে গত ১০০ বছরে তার সাক্ষী হয়নি ইয়েমেন। ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ না খেতে পেয়ে মরার অপেক্ষায়।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানিয়েছে, সৌদি জোট হোদেইদার বন্দর বন্ধ করে রাখায় প্রতি মাসে খাবারের সরবরাহ কমে গিয়েছে প্রায় ৫৫ হাজার মেট্রিক টন। এই খাবারে ৪ কোটি ৪০ লক্ষের দুর্দশা কমানো যেত। এদের মধ্যে অর্ধেক সংখ্যক শিশু। খাবারের সরবরাহ আরও কমলে দুর্ভিক্ষ আর আটকানো যাবে না বলে মত সংস্থাটির। হোদেইদা বন্ধ বলে এখন দক্ষিণে আডেন বন্দর দিয়ে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে তিন গুণ বেশি সময় লাগছে। ফলে যাদের কাছে দ্রুত খাবার পৌঁছনো দরকার, তা সময়ে পৌঁছচ্ছে না। শুধু এ বছর অন্তত ৪ লক্ষ শিশু তীব্র অপুষ্টির শিকার হবে বলে রাষ্ট্রপুঞ্জের সমীক্ষায় দাবি করা হচ্ছে। গত বছরের থেকে সংখ্যাটা ১৫ হাজার বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy