Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

অভিযান শুরুর আগেই নেপালে মৃত্যু ৯ জন পর্বতারোহীর

মৃত পর্বতারোহীদের মধ্যে চার জনই দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। বাকি চার জন গাইড। তাঁরা নেপালের নাগরিক।

দক্ষিণ কোরিয়ারই নাগরিক, পঞ্চম পর্বতারোহীর এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ারই নাগরিক, পঞ্চম পর্বতারোহীর এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি। ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ সংস্থা
কাঠমান্ডু শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮ ০২:১৩
Share: Save:

ভয়ঙ্কর তুষারঝড়ের ধাক্কায় পাহাড় থেকে পড়ে প্রাণ গেল দক্ষিণ কোরিয়ার এক পর্বতারোহী দলের নয় জনের। নেপালের মাউন্ট গুরজায় ওই আরোহীদের বেস ক্যাম্পের কাছেই ঘটনাটি ঘটেছে। শনিবার সকালে আট জনের মৃতদেহ বেস ক্যাম্পের ধ্বংসস্তূপের কাছে পড়ে থাকতে দেখেন উদ্ধারকারীরা।

মৃত পর্বতারোহীদের মধ্যে চার জনই দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। বাকি চার জন গাইড। তাঁরা নেপালের নাগরিক। দক্ষিণ কোরিয়ারই নাগরিক, পঞ্চম পর্বতারোহীর এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি। তবে তুষারঝড়ের সময় তিনি ক্যাম্পেই ছিলেন বলে জানান আধিকারিকেরা। ফলে তিনিও মারা গিয়েছেন বলেই ধারণা তাঁদের।

দক্ষিণ কোরিয়ার বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘নেপালের মাউন্ট গুরজায় পর্বত অভিযানে যাওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার পাঁচ নাগরিক এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা চার বিদেশি বেস ক্যাম্পেই ভয়াবহ তুষারঝড়ের কবলে পড়েন। পাহাড় থেকে পড়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।’’

তুষারঝড়ের পরপরই সিদ্ধার্থ গুরুঙ্গ নামে এক হেলিকপ্টার

পাইলট প্রথম দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তিনি দেখেন, চারদিক লন্ডভন্ড। ভেঙেচুরে দলা পাকিয়ে গিয়েছে আরোহীদের তাঁবু। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আটটি দেহ। কয়েকটি দেহ আবার বেস ক্যাম্প থেকে প্রায় ১,৬৪০ ফিট দূরে নদীর চরের কাছে গিয়ে পড়েছিল।

বেস ক্যাম্পের কাছাকাছি হেলিকপ্টারটি নামিয়ে কয়েক জন স্থানীয়ের সঙ্গে উদ্ধারকাজ চালানোর চেষ্টা করেছিলেন সিদ্ধার্থ। তবে বাদ সাধে বরফ এবং খারাপ আবহাওয়া। আধিকারিকেরা শনিবার বিকেলে আরও একটি হেলিকপ্টার পাঠানোর চেষ্টা করলে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে সেটিও বেশি দূরে পৌঁছতে পারেনি বলে জানায় নেপাল পুলিশ। রবিবার ফের একবার চেষ্টা চালানো হবে বলে জানান তিনি।

এই অভিযানের আয়োজক নেপাল ট্রেকিং ক্যাম্প। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওয়াংচু শেরপা জানান, অক্টোবরের শুরুতে ২৩,৫৯৯ ফুট উচ্চতার মাউন্ট গুরজার গোড়ার দিকে ক্যাম্প তৈরি করেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার দলটি। তবে প্রায় ২৪ ঘণ্টা তারা ট্রেকিং ক্যাম্পের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ না করায় ঘাবড়ে যান আধিকারিকেরা। তড়িঘড়ি তাঁদের খোঁজে হেলিকপ্টার পাঠানো হয়।

পর্বতারোহী দলটির নেতৃত্বে ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত পর্বতারোহী কিম চ্যাং-হো। বাড়তি অক্সিজেন ছাড়া সবচেয়ে দ্রুত বিশ্বের ১৪টি শৃঙ্গে ওঠার কৃতিত্ব রয়েছে তাঁর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE