বিয়ের অনুষ্ঠানে শুরু হবে। বরকনের জন্য অপেক্ষা করছেন আত্মীয়, বন্ধুরা। কালো স্যুটে পাত্র ঢুকলেন। সবাইকে চমকে দিয়ে ঢুকলেন কনেও। কালো পোশাক আর মাথায় লাল ওড়না। তবে পায়ে হেঁটে নয়, কনে ঢুকলেন বরের কোলে চেপে। কারণ কনে একটি রোবট। এখনও হাঁটতে শেখেনি!
সম্প্রতি চিনের ঝেজিয়াং প্রদেশে ঘটনাটি ঘটেছে। ৩১ বছরের পাত্রের নাম ঝেং জিয়াজিয়া। পেশায় রোবট বিশেষজ্ঞ ঝেং বছর খানেক আগে রোবটটি তৈরি করেন। ঠিক মানুষের মতো দেখতে সুন্দরী রোবটটির নাম দেন ইংইং। বুদ্ধিমতী ইংইং কিছু চিনা অক্ষর পড়তে পারে। ছবি দেখে চিনতে পারে। বেশ কিছু কথাও বলতে পারে সে। ঝেং জানিয়েছে, বিয়ের পর যাতে সংসারের কাজে স্ত্রী সাহায্য করতে পারেন এবং নিজেই হাঁটাচলা করতে পারেন তার জন্য নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগ করবেন তিনি। বিয়ের মাস দুয়েক আগে থেকেই নাকি চলেছে প্রেমপর্ব।
ঝেংয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তাঁর মা। কিন্তু এমন অদ্ভুত সিদ্ধান্ত কেন নিলেন ঝেং? মা এই ব্যাপারে মন্তব্য না করলেও তাঁর এক বন্ধু জানান, কিছুতেই মনের মতো পাত্রী খুঁজে পাচ্ছিলেন না ঝেং। তাই শেষমেশ এই সিদ্ধান্ত। অন্য বন্ধুদের মতে, কলেজে পড়তে পড়তেই যন্ত্রের প্রেমে পড়িছেলন ঝেং। ২০১৪ সাল পর্যন্ত একটি স্মার্টফোন তৈরির সংস্থায় কাজ করতেন তিনি। তার পরে সেই চাকরি ছেড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিসম্পন্ন রোবট তৈরিতে মন দেন তিনি।
আরও পড়ুন:জায়গা নেই, যাত্রীকে তাই গলাধাক্কা বিমানে
রোবট আর মানুষের এমন প্রেমকাহিনি গল্প-সিনেমায় দেখা গেলেও বাস্তবে ঘটেছে বলে শোনা যায়নি। ১৯৯৯ সালে মুক্তি পাওয়া আমেরিকান ছবি ‘বাইসেনটেনিয়াল ম্যান’-এ এমনই রোবটের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেতা রবিন উইলিয়ামস। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই ধীরে ধীরে মানুষ হয়ে উঠেছিল অ্যান্ড্রু নামের রোবটটি। দুঃখ, আনন্দ, অভিমান মানুষের মতোই অনুভব করত অ্যান্ড্রু। পরে বিয়েও করেছিল ভালবেসে। তবে যন্ত্রের অমরত্ব শেষ পর্যন্ত মেনে নেয়নি মানুষও। সম্পূর্ণ মানুষ হয়ে উঠতে সিনেমায় মরতে হয়েছিল অ্যান্ড্রুকেও।
বাস্তবে ঝেংয়ের স্ত্রী হিসেবে ইংইং সফল হবেন কি না, তা বলতে পারে সময়ই। আপাতত ইংইংয়ের স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছেন ঝেং।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy