রোবট কুকুর ‘আইবো’। ছবি সংগৃহীত।
এসে গেল রোবট কুকুর ‘আইবো’।
যা হয়তো লাফিয়ে এসে বসবে না আমাদের কোলে, আমাদের গালে গাল ঘষে আদর করবে না, তবে আনন্দ, বিষাদ, অবসাদ ও ঘুমের মুহূর্তগুলি আইবো আমাদের সঙ্গে কিছুটা হলেও শেয়ার করতে পারবে। অনায়াসে। পারবে লেজ নাড়াতে, কানদু’টো দোলাতে।
আইবোর সামনে গিয়ে ‘ব্যাং ব্যাং’ বলুন। দেখবেন, সে আপনার সামনে গিয়ে শুয়ে পড়বে। আর তার পর এমন ভান করবে যেন, তার দেহে আর প্রাণ নেই! ওকে বলুন, ‘ব্রিং মি দ্য বোন’। সঙ্গে সঙ্গে আইবো তার খুব পছন্দের গোলাপি রংয়ের একটা খেলনা মুখে করে এনে দেবে আপনাকে। আইবো তার পিছনের পা দু’টি মাটি থেকে ওপরে তুলে দিলেই টুং টাং আওয়াজ হবে। যেন কোনও ঘণ্টা বাজছে!
মার্কিন মুলুকে এই রোবট কুকুর বাজারে আনল ‘সোনি’। দাম ২ হাজার ৯০০ ডলার। আমেরিকান কেনেল ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছে, বাড়িতে একটি কুকুর পুষতে যেখানে বছরে গড়ে খরচ হয় মোটামুটি ২৩ হাজার ৪১০ ডলার, সেখানে এই রোবট কুকুরের জন্য কেনার পর আর তেমন কোনও খরচ নেই বললেই চলে। ব্যাটারি রিচার্জ করিয়ে নিলেই হল!
দেখুন আইবোর কীর্তিকলাপ!
আইবোর পিঠ, মাথা আর চিবুকটা বানানো প্লাস্টিক দিয়ে। সেখানে বসানো রয়েছে কয়েকটি সেন্সর। তার ওপর আপনি হাত বোলালে দেখবেন, আইবো চোখ বন্ধ করে আদর খাচ্ছে। সেখানে চিমটি কাটলে তার মুখটা কিছুটা গোমড়া হয়ে যাবে। আইবোর সবক’টি মাংসপেশীই যান্ত্রিক। তাই আইবো নড়াচড়া করলেই শব্দ হবে। আর সেই শব্দটা মোটেই বিরক্তিকর নয়। বরং বেশ সুরেলা।
আরও পড়ুন- ‘মায়ের কোল যে খালি হবে, মানতে পারিনি’
আরও পড়ুন- মানুষ মারতে চেয়েছিল বিশ্বের প্রথম রোবট-মানুষ সোফিয়া!
আইবোর নাক আর পিঠের নীচের দিকটায় রয়েছে দু’টি ক্যামেরা। তা দিয়ে আপনার গোটা বাড়ির কোথায়, কী রয়েছে, তা দেখে নিতে পারবে আর প্রয়োজন হলে যেখানে তার চার্জারটা রাখা আছে, সেখানে গুটি গুটি পায়ে পৌঁছে যেতে পারবে। আইবোকে চালানো হয় যে ব্যাটারিতে, তা একটানা চলতে পারে সর্বাধিক দু’ঘণ্টা। আমাদের দেওয়া কম্যান্ডগুলি শোনা ও শব্দ-সংকেতগুলি চেনা ও বোঝার জন্য রোবট কুকুরটির সারা শরীরে বসানো রয়েছে চারটি মাইক্রোফোন।
আইবোর চেহারাটা অনেকটা সাত সপ্তাহের ইয়র্কশায়ার টেরিয়ারের মতো।
‘সোনি’র তরফে জানানো হয়েছে, ওর সঙ্গে একটু মিশলেই ও মুখ চিনতে পারবে আমার, আপনার। আমাদের সঙ্গে ভাব জমানোর চেষ্টা করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy