Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
International News

পিচাই, নাদেলার পর এ বার আমাজনের এক প্রকল্পের মাথায় অতুল

আমাজন, বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে ও জেপি মর্গ্যান চেজ অ্যান্ড কোম্পানির যৌথ স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) হলেন হার্ভার্ডের শল্য চিকিৎসক ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংবাদিক অতুল গাওয়ানড়ে।

অতুল গাওয়ানড়ে।- ফাইল চিত্র।

অতুল গাওয়ানড়ে।- ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৮ ১৫:৪৩
Share: Save:

গুগলের সুন্দর পিচাই, মাইক্রোসফটের সত্য নাদেলা আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (‘হু’)-র সৌম্যা স্বামীনাথনের পর ফের একটি বহুজাতিক সংস্থার শীর্ষ পদে এলেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত।

আমাজন, বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে ও জেপি মর্গ্যান চেজ অ্যান্ড কোম্পানির যৌথ স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) হলেন হার্ভার্ডের শল্য চিকিৎসক ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংবাদিক অতুল গাওয়ানড়ে।

খুব কম খরচে স্বাস্থ্যবিমার সুযোগসুবিধা আমজনতার কাছে পৌঁছে দিতে ওই তিনটি সংস্থা মিলে গড়া একটি নতুন সংস্থা চালু করছে ওই স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প। আমেরিকার সরকারি স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পের কট্টর সমালোচক অতুলকে তারই সর্বময় কর্তা করা হয়েছে। সংস্থাটির সদর দফতর বস্টনে।

৫২ বছর বয়সী অতুল বিশ্বের স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পের এক জন প্রথম সারির বিশেষজ্ঞ। আজ থেকে ৯ বছর আগে মার্কিন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তাঁর ‘দ্য কস্ট কোনান্ড্রাম’ শীর্ষক প্রবন্ধটি আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। ওই গবেষণামূলক নিবন্ধে অতুল চুলচেরা বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছিলেন, অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় স্বাস্থ্যবিমার খরচ কেন আমেরিকার কয়েকটি জায়গায় অনেকটাই বেশি। ওই প্রবন্ধটির জন্য অতুল আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ম্যাগাজিন অ্যাওয়ার্ড’ পান।

আরও পড়ুন- হোয়াট্‌সঅ্যাপকে টেক্কা দিতে মাঠে নামছে গুগল!​

আরও পড়ুন- জিতলেন কর্মীরাই, চাপের মুখে পেন্টাগনের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করল গুগ্‌ল​

২০১৪ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর বই- ‘বিয়িং মর্টাল: মেডিসিন অ্যান্ড হোয়াট ম্যাটার্স ইন দ্য এন্ড’। সেই বইয়ে অতুল স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রবীণদের অবহেলিত হওয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। ধরে ধরে দেখিয়ে দিতে পেরেছিলেন আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশে সরকারি স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পগুলি কেন প্রবীণদের পক্ষে প্রত্যাশামাফিক সহায়ক হয়ে ওঠেনি, কেন সহায়ক হয়ে উঠতে পারেনি।

অতুলের বাবা, মা দু’জনেই ছিলেন ডাক্তার। সাত দশক আগে তাঁরা ভারত থেকে চলে যান আমেরিকায়। অতুলের জন্ম নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে। তাঁর বায়োডেটাও রীতিমতো উজ্জ্বল। বায়োলজিতে স্নাতক হওয়ার পর তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বাল্লিয়োল কলেজ থেকে দর্শন, রাজনীতি এবং অর্থনীতি (পিপিই) নিয়ে এমএ করেন অতুল। তার পর হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল থেকে মেডিসিনে ডাক্তারি পাশ করে হার্ভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেল্‌থ থেকে জনস্বাস্থ্য নিয়ে স্নাতকোত্তর করেন অতুল।

অতুলের কৃতিত্ব এটাই, স্বাস্থ্যবিমার যৌথ প্রকল্প সামলাতে তাঁকে একই সঙ্গে বেছে নিয়েছেন আমাজনের জেফ বেজস, বার্কশায়ারের ওয়ারেন বুফে এবং জেপি মর্গ্যানের জ্যামি ডিমন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE