Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

পশ্চিম এশিয়ায় কি মার্কিন সেনা বাড়ানোর ভাবনা

একটি প্রথম সারির মার্কিন দৈনিক দাবি করেছে, গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারপ্রাপ্ত মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব প্যাট্রিক মাইকেল শ্যানাহান।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৯ ০২:৫১
Share: Save:

বিমানবাহী রণতরী, বোমারু বিমান ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে। ইরানকে চাপে রাখতে নাকি পশ্চিম এশিয়ায় এক লক্ষ কুড়ি হাজার সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা করছে আমেরিকা। যা আরও এক বার উস্কে দিয়েছে ইরাক যুদ্ধের স্মৃতি।

একটি প্রথম সারির মার্কিন দৈনিক দাবি করেছে, গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারপ্রাপ্ত মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব প্যাট্রিক মাইকেল শ্যানাহান। সেখানেই তিনি পশ্চিম এশিয়ায় ওই সংখ্যক সেনা পাঠানোর প্রস্তাব দেন। যদিও মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো আজ জানিয়েছেন, ইরানে যুদ্ধের কোনও পরিকল্পনা তাঁদের নেই। একই কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। ওই রিপোর্ট উড়িয়ে তাঁরও দাবি, ইরানে আলাদা করে সেনা পাঠাচ্ছে না আমেরিকা। বৃহস্পতিবারের বিশেষ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন, সিআইএ-র অধিকর্তা জিনা হ্যাসপেল, জয়েন্ট চিফ অব স্টাফস-এর চেয়ারম্যান জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড এবং জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ড্যান কোটস।

কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইরানের সঙ্গে আমেরিকার চাপা উত্তেজনা চলছে। গত বছর ইরান চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ট্রাম্প। ইরানের উপরে তিনি অজস্র নিষেধাজ্ঞাও চাপান। যার জেরে কার্যত ভেঙে পড়েছে তেহরানের অর্থনীতি। এর মধ্যে গত সপ্তাহেই ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি জানিয়ে দেন, ৬০ দিনের মধ্যে চুক্তিতে থাকা বাকি দেশগুলি ইরানের ব্যাঙ্কিং আর তেল ক্ষেত্র নিয়ে সদর্থক সিদ্ধান্ত না নিলে দেশের উদ্বৃত্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বিদেশে রফতানি বন্ধ করে দেবেন তাঁরা। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া তুলতে মরিয়া ইরান সরকার আসলে পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডার বাড়ানোর দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছে। রৌহানির ঘোষণার পর পরই ইরাক আর কুয়েতে একাধিক যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী এবং বোমারু বিমান-সহ বিশাল নৌবহর মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আমেরিকা। মার্কিন রণতরী আব্রাহাম লিঙ্কন ছাড়াও আর্লিংটন নামে আরও একটি বিমানবাহী রণতরী ও নৌবহর উপসাগরীয় অঞ্চলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন প্রশাসন।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

দু’দেশের দ্বন্দ্ব আরও বেড়েছে গত রবিবার থেকে। সৌদি আরব গত কাল দাবি করে, তাদের দু’টি তেলবাহী জাহাজে হামলা চালিয়ে সেগুলিতে ফুটো করে দেওয়া হয়েছে। জাহাজগুলির আমেরিকাকেই তেল সরবরাহের কথা ছিল। ইরানের নাম না করেও নাশকতায় তাদের মদতপুষ্ট হিজবুল্লা গোষ্ঠীর হাত আছে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছে আমেরিকা আর সৌদি আরব। কালই অবশ্য ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, আমেরিকা আক্রান্ত হলে ইরানকে তার ফল ভুগতে হবে। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প স্পষ্ট বলেছেন, ‘‘আমরা ইরানের উপরে নজর রাখছি। ওরা যদি কিছু করে, তা হলে খুব বড় ভুল করবে।’’ তাই মুখে ট্রাম্প সেনা পাঠানোর কথা অস্বীকার করলেও উপসাগরীয় এলাকায় উত্তেজনার পারদ চড়ছেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

America Iran Army আমেরিকা
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE