—ফাইল চিত্র।
চিনের সঙ্গে স্নায়ু টানটান সংঘাতের আবহের মধ্যেই আজ টেলিফোনে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে-র সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দু’দেশের চলতি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাগুলি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সমঝোতা গভীরতর করা এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি এবং নিরাপত্তা ক্ষেত্রে যৌথ ভাবে কাজ করা নিয়ে কথা হয়েছে মোদী এবং আবের মধ্যে। অতিমারি আক্রান্ত নতুন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে জাপান।
কোভিড-এর পরে গত কয়েক মাস ভিডিয়ো এবং টেলি-যোগাযোগের মাধ্যমে সক্রিয় কূটনীতি চালিয়ে যাচ্ছে সাউথ ব্লক। গত জুন মাস থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের মতো মহাশক্তিধর প্রতিবেশীর সঙ্গে সংঘাতের পর এই কূটনৈতিক দৌত্যের মাত্রা বেড়েছে বহুলাংশে। খুব শীঘ্রই কোয়াড বা চর্তুদেশীয় অক্ষের (ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকা) বৈঠক নয়াদিল্লিতে হওয়ার কথা রয়েছে। সমুদ্রপথে চিনের বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত আধিপত্য খর্ব করার জন্য অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলছে বিদেশ মন্ত্রক। সংশ্লিষ্ট দু’টি দেশই এই প্রসঙ্গে চিনের উপর খড়্গহস্ত।
আজ যখন মস্কোয় চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক, ভারত তার আগে জাপানের সঙ্গে শীর্ষ স্তরে কথা বলে বেজিংয়ের উপরে মনস্তাত্ত্বিক চাপ বাড়িয়ে রাখল।
দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর কথার পরে বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ভারত এবং জাপানের সেনার মধ্যে প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিষেবা বিনিময় সংক্রান্ত চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন মোদী ও আবে। বলা হয়েছে, ভারত এবং জাপানের মধ্যে সম্পর্কের পোক্ত ভিত ভবিষ্যতেও বহাল থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy