Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
International News

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মৌন, সু চি-র সর্বোচ্চ মানবাধিকার পুরস্কার কেড়ে নিল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রবিবারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। সোমবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে। তবে এ নিয়ে সু চি-র কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

আং সান সু চি। —ফাইল ছবি

আং সান সু চি। —ফাইল ছবি

সংবাদ সংস্থা
নেপিড শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ১১:৫৮
Share: Save:

নিজে গৃহবন্দি থেকেও মানুষের মুক্তির কথা বলেছেন। লড়াই করেছেন স্বাধীনতার জন্য। প্রায় দেড় দশকের সংগ্রাম জিতে যখন ক্ষমতায় বসলেন, তখন সেই লড়াইয়ের মুখই গেল পাল্টে। মায়ানবারবাসীর কাছে শান্তি, গনতন্ত্র, মানবাধিকার, স্বাধীনতার দূত হয়ে উঠেছিলেন যে আন সাং সু চি, তাঁর সেই সব গুণই এখন প্রশ্নের মুখে। হাজার হাজার রোহিঙ্গা নিধন-ধর্ষণ, দেশছাড়া করার বিরুদ্ধে মৌন তিনি। দেশের অভ্যন্তরে দুর্নীতি-অশান্তিতেও আর সরব নন। সেনার অত্যাচারে নেই প্রতিবাদ-প্রতিরোধ। তাই এ বার তাঁদেরই দেওয়া সর্বোচ্চ মানবাধিকারের পুরস্কার ‘অ্যাম্বাসাডর অব কনসিয়েন্স’ কেড়ে নিল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

লন্ডনের এই সংগঠনের তরফে সোমবারই এই ঘোষণা করা হয়েছে। ‘‘আজ আমরা অত্যন্ত হতাশ যে আপনি আর আশা, সাহস এবং মানবাধিকার রক্ষার লড়াইয়ের প্রতীক আর নেই আপনি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর দেওয়া ‘অ্যাম্বাসাডর অব কনসিয়েন্স’ বা ‘মানবাধিকারের দূত’ পুরস্কারের সঙ্গে আপনি আর সুবিচার করতে পারছেন না। তাই অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে এই পুরস্কার আপনার থেকে তুলে নেওয়া হল।’’, বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন সংগঠনের প্রধান কুমি নাইডু।

সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রবিবারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছিল। সোমবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে। তবে এ নিয়ে সু চি-র কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

আরও পডু়ন: ড্রাগনকে বেকায়দায় ফেলে ফের মলদ্বীপে প্রভাব বাড়াল দিল্লি, নয়া প্রেসিডেন্টের শপথে মোদী

বৌদ্ধ প্রধান মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে দীর্ঘদিন ধরেই রোহিঙ্গারা অত্যাচারিত। সু চি-র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমক্রেসি (এনএলডি)মায়ানমারে ক্ষমতায় আসে ২০১৫ সালে। কিন্তু তারপরও পরিস্থিতির খুব একটা বদল হয়নি। বরং বেড়েছে। একটি সমীক্ষা দাবি করেছে, গত তিন বছরে মায়ানমার থেকে ৭২ হাজার রোহিঙ্গাকে দেশছাড়া করেছে সে দেশের সেনা। আরও বহু মানুষকে খুন ধর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু সু চি কখনও তা নিয়ে প্রতিবাদ করেননি। তাঁর দলের সরকারের অধিকাংশ নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। তা নিয়েও উচ্চবাচ্য নেই।

আরও পড়ুন: ভোটের আগে মাথাপিছু টাকা ঢেলেছে বিজেপি! রাতে তাই বেদম নাচ আর মাংস-ভাত

এই সব কারণে ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশের একাধিক পুরস্কার-সম্মান খুইয়েছেন সু চি। গত মাসেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাঁর সাম্মানিক নাগরিকত্ব খারিজ করেছে কানাডা। এবার সর্বোচ্চ মানবাধিকারের পুরস্কারও হাতছাড়া হল সু-চি-র।

সারাবিশ্বের সেরা সব খবরবাংলায় পড়তে চোখ রাখতে পড়ুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Amnesty International Mayanmar Suu Kyi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE