Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

পা পিছলে আগ্নেয়গিরিতে শিশু, বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু বাবা-মায়েরও

উত্তর ইতালির মেওলো শহরের এক বাসিন্দা তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বড় ছেলে লোরেঞ্জো ঘুরতে ঘুরতে সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকে পড়ে। তার পর পা পিছলে প্রায় দশ ফুট গভীর গর্তে পড়ে যায়।

জ্বলন্ত-মাঠ: ফ্লেগ্রিয়ান ফিল্ডসে উদ্ধারকারী দল। ছবি: এপি।

জ্বলন্ত-মাঠ: ফ্লেগ্রিয়ান ফিল্ডসে উদ্ধারকারী দল। ছবি: এপি।

সংবাদ সংস্থা
নেপলস শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৪৫
Share: Save:

আগ্নেয়গিরির গর্তের ফুটন্ত কাদার মধ্যে পড়ে মঙ্গলবার মৃত্যু হল ১১ বছরের বালক ও তার মা-বাবার। মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ইতালির নেপলস-এর কাছে পোজ্জুওলি শহরের সোলফাতারা গহ্বরে। পর্যটনের জন্য এলাকাটি জনপ্রিয়।

উত্তর ইতালির মেওলো শহরের এক বাসিন্দা তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বড় ছেলে লোরেঞ্জো ঘুরতে ঘুরতে সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকে পড়ে। তার পর পা পিছলে প্রায় দশ ফুট গভীর গর্তে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে গর্তে পড়ে প্রাণ হারান বাবা-মাও। সাত বছরের ছোট ছেলেটি কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে থাকায় বেঁচে গিয়েছে।

গন্ধকের ধোঁয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে নাকি ঝলসে গিয়ে মারা গেলেন তিন জন, সেটা এখনও জানা যায়নি। ছবিতে দেখা গেছে, গর্তের অনেক ফুট নীচে পড়ে থাকা দেহগুলি তুলতে কাঠের কফিন নিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। সোলফাতারা গহ্বরটি ফ্লেগ্রিয়ান ফিল্ডস-এর অংশ। স্থানীয়রা একে ‘জ্বলন্ত’ মাঠ বলে ডাকেন। প্রাচীন কাল থেকেই অনেকগুলি মুখ এই আগ্নেয়গিরির। ১৫৩৮ সালে শেষ বার লাভা উগরেছিল সে। গত বছরও জেগে ওঠার লক্ষণ দেখিয়েছিল। ভূতত্ত্ববিদরা এই অঞ্চলের তাপমাত্রা ও গ্যাসের উপরে নিয়মিত নজর রাখেন। কিছু দিন আগের ভারী বৃষ্টিপাতে গহ্বরের মুখে আরও কিছু ফাটল তৈরি হয়েছিল বলেও খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE