ফের নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছে শ্রীলঙ্কার পাহাড়ি পর্যটক শহর ক্যান্ডিতে। ফের পুড়েছে বাড়িঘর, দোকানপাট। বেগতিক দেখে প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপাল সিরিসেনা আজ প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের হাত থেকে আইন-শৃঙ্খলা দফতর সরিয়ে নিয়েছেন।
জরুরি অবস্থা জারি করেও সিংহলি বৌদ্ধ এবং মুসলিমদের মধ্যে সংঘর্ষ পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। ব্যাপক হারে সেনা মোতায়েন করা সত্ত্বেও হিংসা চলছে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এখনও বন্ধ। সংবাদমাধ্যমের দাবি, সেনা টহলের মধ্যেই এ দিন ধর্মস্থান লক্ষ করে পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়েছে। মুসলিম-বিরোধী বিক্ষোভে যোগ দেওয়ায় গ্রেফতার করা হয়েছে অন্তত ৮১ জনকে। এই বিক্ষোভের মূল পাণ্ডা অমিত জীবন বীরসিংহেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হিংসা ছড়ানো এবং প্ররোচনামূলক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এখনও পর্যন্ত হিংসার জেরে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে পড়ে দমবন্ধ হয়ে প্রাণ হারান এক জন। গ্রেনে়ড বিস্ফোরণে নিহত হন আর এক জন। ক্যান্ডি জেলা জুড়ে অন্তত ৪৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি পুলিশের। হিংসা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ছড়াচ্ছিল জনমানসে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রেসিডেন্ট আইনশৃঙ্খলা দফতর হস্তান্তর করেছেন। যদিও মাত্র ১১ দিন আগে প্রধানমন্ত্রী বিক্রমসিংহকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আজ অবশ্য বিক্রমসিংহের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টিরই প্রবীণ নেতা রঞ্জিত মাদ্দুমা বান্দারাকে পুলিশমন্ত্রী করা হয়েছে। তার পরেই পুলিশ তড়িঘড়ি গ্রেফতার করে মুখ্য অভিযুক্তকে।
গত কালই ক্যান্ডি গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। গত রাত থেকে পুলিশকে সাহায্য করতে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় চলতে থাকা হিংসার নিন্দা করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আর্জি জানিয়েছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy