স্টিফেন হকিং। ফাইল চিত্র।
মৃত্যু মিলিয়ে দিল তাঁদের। সেই কবে অ্যাইজাক নিউটন, চার্লস ডারউইনরা বিদায় নিয়েছেন পৃথিবী থেকে। লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবের সমাধিক্ষেত্রে এবার স্থান করে নিলেন পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। ডারউইন এবং নিউটনের পাশেই।
জীবনে তিনি ধর্মের সামনে মাথা নোয়াননি, তবে জীবন শেষে তাঁর ঠাঁই হল চার্চ অব ইংল্যান্ডের প্রাধান গির্জা ওয়েস্ট মিনিস্টার অ্যাবেতে। অ্যাবের ডিন রেভারেন্ড জন হলের কথায়, ‘‘হকিংয়ের কাজের জন্যই এই সম্মান। তিনি নাস্তিক ছিলেন কি না, এটা বিবেচ্য বিষয় নয়।’’
মোহনপুর আইআইএসইআর-এর অধ্যাপক সিদ্ধার্থ লাল একসময় অধ্যাপনা করতেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি জানিয়েছেন, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেট সেন্ট মেরিজ গির্জা ছিল বিজ্ঞানীর অতি প্রিয়। হকিংয়ের ইচ্ছে অনুসারেই গত ৩১ মার্চ, সেখানেই তাঁকে দাহ করা হয়। তখনই জানানো হয়েছিল, পাকাপাকিভাবে তাঁর চিতাভষ্মের স্থান হবে ডারউইনদের মতো মহান বিজ্ঞানীদের পাশে।
অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য কী মরিয়া চেষ্টা! অ্যাবের কাছে জমা পড়েছিল প্রায় ২৫ হাজার আবেদনপত্র। আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন মাত্র এক হাজার। গত শুক্রবার অ্যবের সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন হকিংয়ের প্রথম স্ত্রী, কন্য লুসি, স্কুল পড়ুয়া, প্রখ্যাত বিজ্ঞানী, অভিনেতা, রাজনৈতিক জগতের মানুষ। জীবদ্দশায় যেমন প্রচারের সমস্ত আলো ছিল তাঁর উপর, মৃত্যুর পরেও তার ব্যতিক্রম হল না। নভোশ্চর রয়্যাল মার্টিনের কথায়, ‘‘মহাকাশ এবং সময় নিয়ে আইনস্টাইনের পর এত গভীরভাবে কেউ ভাবেননি।’’
আরও পড়ুন: রমজান শেষ, কাশ্মীরে ফের অল আউট অপারেশন, জানিয়ে দিল কেন্দ্র
আরও পড়ুন: বাণিজ্য সংঘাত, মার্কিন পণ্যে এ বার পাল্টা শুল্ক চাপাল ভারত
হকিং চেয়েছিলেন, তাঁর সমাধি-ফলকে লেখা থাকবে তাঁরই বিখ্যাত সমীকরণ। তাঁর ইচ্ছে মেনে নেওয়া হয়েছে। তবে বিখ্যাত সেই সমীকরণের পাশাপাশি তাঁর সমাধিফলকে লিখে রাখা হয়েছে ছোট্ট একটা বাক্য। ‘‘স্টিফেন হকিং শায়িত রয়েছেন এখানেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy