সন্তান-সহ প্রায় দেশহীন নাগরিক হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে ব্রিটেনের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামিমা বেগম।—ছবি এএফপি।
এক কালে জঙ্গি দলে যোগ দেওয়ায় ওঁদের আজ আর ফিরিয়ে নিতে চায় না দেশ। সন্তান-সহ তাই প্রায় দেশহীন নাগরিক হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে ব্রিটেনের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামিমা বেগম এবং আমেরিকার ইয়েমেনি বংশোদ্ভূত হোডা মুথানা।
ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর আদর্শে মগজধোলাই হয়ে দু’জনেই পাড়ি দিয়েছিলেন সিরিয়া। সংসারও পেতেছিলেন। আজ ভুল বুঝে দু’জনেই ফিরতে চান দেশে। শামিমার নাগরিকত্বই খারিজ করে দিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। এর পর গত কাল বাংলাদেশও জানিয়ে দেয়, শামিমাকে ঢুকতে দেবে না তারা। যদিও এর পরে ব্রিটিশ অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেছেন, তিনি এমন কিছু করবেন না যাতে কেউ রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক’দিন আগেই বলেছিলেন, আইএস-এ যোগ দেওয়া নিজের নিজের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিক ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। কিন্তু আমেরিকার ক্ষেত্রে ঠিক উল্টো অবস্থান তাঁর। কোনও ব্যক্তির অভিবাসন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আনা নীতিবিরুদ্ধ হলেও টুইটারে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘হোডা মুথানা মার্কিন নাগরিক নন। বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়োকে বলেছি, তাঁকে যেন আমেরিকায় ঢুকতে দেওয়া না-হয়। মুথানার বৈধ মার্কিন পাসপোর্ট নেই, ভিসাও নেই।’’ এক মার্কিন কর্তা জানান, মুথানার নাগরিকত্ব খারিজ হয়নি, কারণ তিনি মার্কিন নাগরিকই নন। তাঁর বাবা আমেরিকায় ইয়েমেনের কূটনীতিক ছিলেন। মুথানা নিউ জার্সিতে জন্মেছেন এবং অ্যালাবামায় বড় হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু কূটনীতিকদের সন্তানেরা অন্যদের মতো আমেরিকায় জন্মালেই নাগরিকত্ব পায় না। যদিও মুথানার আইনজীবীর দাবি, তিনি মার্কিন নাগরিক। কোনও নিয়ম ভাঙা হয়ে থাকলে দেশে ফিরিয়ে শাস্তি দেওয়া হোক তাঁকে।
শামিমার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ মন্ত্রী কিছুটা নরম হলেও বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘‘শামিমা বেগম আমাদের নাগরিক নন। তিনি জন্মসূত্রে ব্রিটিশ, কোনও দিন দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন করেননি। পূর্বপুরুষের যোগ থাকলেও কখনও বাংলাদেশে আসেননি। ফলে তাঁকে ঢুকতে দেওয়ার প্রশ্ন নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy