১৯৭১ সালে ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করছে পাক বাহিনী।
মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবদানকে আরও বড় স্বীকৃতি দিতে চলেছে বাংলাদেশ। ভারতীয় সেনার সম্মানে ভারতেরই আটটি জায়গায় মুক্তিযুদ্ধ স্মরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করছে বাংলাদেশ। জানিয়েছেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের কাছে যতটা গুরুত্বপূর্ণ, পাকিস্তানের কাছে তা ততটাই অগৌরবের। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের কাছে এই যুদ্ধ দু’দিক দিয়ে গ্লানির। প্রথমত, এই যুদ্ধের ফলে ভেঙে দু’ভাগ হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয়ত, ভারতের কাছে সে যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল পাকিস্তানের ৯৩ হাজার সৈন্যের বিশাল বাহিনীকে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভুলে থাকতেই তাই পছন্দ করে ইসলামাবাদ। কিন্তু ঢাকা বার বারই বুঝিয়ে দিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে বড় আবেগ বাংলাদেশের মানুষের কাছে আর কিছু নেই। ভারতের অনেকেই বাংলাদেশের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধ সম্মান পেয়েছেন আগেই। এ বার শেখ হাসিনার সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ভারতীয় সেনাকে সম্মান জানানো হবে।
আরও পড়ুন:
লতা মঙ্গেশকরের অভ্যর্থনায় আপ্লুত রুনা লায়লা
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এখন ভারত সফরে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে বাংলাদেশ সরকারের তরফে ভারতে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যাপারে চূড়ান্ত কথাবার্তা বলতেই হকের নেতৃত্বে ঢাকার প্রতিনিধিদের এই ভারত সফর। ভারতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় শহিদদের পরিবারকেও শ্রদ্ধা জানাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তি বাহিনীর সামরিক সদর দফতর ছিল ত্রিপুরা। যে এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সামরিক সদর দফতর ছিল, সেখানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে একটি মিউজিয়াম এবং পার্ক বানিয়েছে ত্রিপুরা সরকার। তার জন্য বাংলাদেশ সরকার ত্রিপুরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy