মুর্তাজা কুরেইরিস
মাত্র তেরো বছর বয়সে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অপরাধে মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত মুর্তাজা কুরেইরিসের। সম্প্রতি সৌদি প্রশাসন ঘোষণা করেছে, মুর্তাজার মৃত্যুদণ্ড রদ করা হয়েছে।
সে দিনের কিশোর মুর্তাজা এখন ১৮ বছরের যুবক। মৃত্যুদণ্ড রদের পাশাপাশি জানানো হয়েছে, ২০২২ সালে তাকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। মুর্তাজার বিরুদ্ধে ওঠা বহু অভিযোগের মধ্যে একটি ছিল, তার ‘বিদ্রোহী’ দাদা আলির সঙ্গে মোটরবাইকে চেপে থানায় গিয়েছিল সে। তার পর থানা লক্ষ করে বোতলবোমা ছুড়েছিল। তখন তার বয়স মাত্র ১০। দ্বিতীয় অপরাধ, দাদার শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছিল সে। পরে তার দাদার মৃত্যুতে যে বিশাল শোক সমাবেশ হয়েছিল, তাতেও দেখা গিয়েছিল মুর্তাজাকে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। সে সময়ে বলা হয়েছিল, সৌদি আরবের কনিষ্ঠতম রাজনৈতিক বন্দি মুর্তাজা।
ফাঁসি রদ করে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে মুর্তাজাকে। ইতিমধ্যেই পাঁচ বছর জেল খেটে ফেলেছে সে। কিশোর বয়সে ওই কাজ করেছিল বলে চার বছর জেল মাফ করে দেওয়া হয়েছে। তাই আর তিন বছর পরে জেল থেকে মুক্তি পাবে সে।
সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার পর থেকে একাধিক মানবাধিকার সংগঠনের নজরবন্দি রিয়াধ। বহু মহিলা আন্দোলনকারী বন্দি রয়েছেন। তাঁদের বিচার চলছে। সন্ত্রাসমূলক কাজে জড়িত থাকার অপরাধে গত এপ্রিল মাসে ৩৭ জনকে মাথা কেটে শাস্তি দিয়েছে সুন্নি-প্রধান সৌদি সরকার। রাষ্ট্রপুঞ্জের নজরদারি সংস্থা জানিয়েছে, মৃত্যুদণ্ড হওয়া ওই ৩৭ জনের অধিকাংশই শিয়া। জেলে মুর্তাজার উপরে অত্যাচার চলছে বলে শোনা গিয়েছিল। সৌদি প্রশাসন সে অভিযোগও অস্বীকার করেছে। এ-ও দাবি করে, শিয়াদের সঙ্গে কোনও বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy