Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

‘নিম্ন মেধা’, নাম না করে মোদীকে খোঁচা ইমরানের

সন্ধি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হতেই প্রতিদ্বন্দ্বীর উদ্দেশে কড়া বাউন্সার দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। নাম না করে সরাসরি আক্রমণ শানালেন নরেন্দ্র মোদীকে। তাঁকে পরোক্ষে ‘নিম্ন মেধাসম্পন্ন ব্যক্তি’ বলে আখ্যা দিয়ে আজ ইমরানের দাবি, শান্তি আলোচনায় ভারতের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় তিনি হতাশ। 

ইমরান খান ও নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।

ইমরান খান ও নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪৯
Share: Save:

সন্ধি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হতেই প্রতিদ্বন্দ্বীর উদ্দেশে কড়া বাউন্সার দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। নাম না করে সরাসরি আক্রমণ শানালেন নরেন্দ্র মোদীকে। তাঁকে পরোক্ষে ‘নিম্ন মেধাসম্পন্ন ব্যক্তি’ বলে আখ্যা দিয়ে আজ ইমরানের দাবি, শান্তি আলোচনায় ভারতের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় তিনি হতাশ।

এ নিয়ে রাত পর্যন্ত বিদেশ মন্ত্রক কোনও মন্তব্য না করলেও নয়াদিল্লির বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়ত। তিনি বলেন, ‘‘সন্ত্রাস ও আলোচনা এক সঙ্গে চলতে পারে না।’’ তাঁর কথায়, ‘‘জঙ্গি ও পাক সেনার বর্বরোচিত হামলার কড়া ভাষায় জবাব দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।’’

গত কালই আলোচনা বাতিল করার সিদ্ধান্তকে দুর্ভাগ্যজনক বলে ব্যাখা করেছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘শান্তির প্রশ্নে ভারত ফের একটি সুযোগ নষ্ট করল।’’ আজ নয়াদিল্লিকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানান ইমরান। টুইটে তিনি বলেন, ‘‘শান্তি প্রক্রিয়া চেয়ে আমার আবেদনের নিরিখে ভারতের উদ্ধত ও নেতিবাচক জবাবে আশাহত। যা হোক, আমি গোটা জীবনে উঁচু পদে বসে থাকা অনেক নিম্ন মেধার লোক দেখেছি, যাদের বৃহত্তর চিত্রটি উপলব্ধি করার মতো দূরদর্শিতার অভাব রয়েছে।’’

স্বভাবতই পাক প্রধানমন্ত্রীর ওই কড়া মন্তব্যে অস্বস্তিতে মোদী সরকার। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ঠিক হয়েছে, ইমরানের ওই মন্তব্যের জবাব দেওয়া হবে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় না বসার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেই অবস্থানেই আপাতত অনড় থাকবে দিল্লি। কারণ কেন্দ্রের ধারণা, লোকসভা ভোটের আগে বৈঠকে বসলে বিশেষ কোনও কূটনৈতিক ফায়দা হবে না ভারতের। আর সেটা না হলে আখেরে বিরোধীদের হাতেই অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে। প্রাথমিক ভাবে বৈঠকে রাজি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও তাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবস্থান বদলিয়ে বৈঠক বাতিল করে দিল্লি।

আরও পড়ুন: আইএস হানা সেনা প্যারেডে, নিহত ২৯

পাক প্রধানমন্ত্রীর ওই টুইটের পরেই এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়ত। সেনাপ্রধান বলেন, ‘‘আমি মনে করি আমাদের দেশের নীতি এ বিষয়ে স্পষ্ট এবং সংক্ষিপ্ত। সন্ত্রাস ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারেনা। পাকিস্তানকে সন্ত্রাসে লাগাম পরাতেই হবে।’’ যে ভাবে চলতি সপ্তাহে বিএসএফ জওয়ানের মাথা কেটে হত্যা করা হয়েছে, তাতে সেনারা প্রতিশোধের জন্য যে ফুঁসছে, সেই ইঙ্গিতও আজ দেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, ‘‘পাক সেনা ও জঙ্গিরা যে বর্বরোচিত আচরণ করছে, তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার সময় এসেছে। বিপক্ষকে তাদের ভাষাতেই জবাব দিতে হবে। তার মানে এই নয়, ওদের মতো বর্বর আচরণ করব।’’ জবাবে পাক সেনার দাবি, তারা যুদ্ধের জন্য তৈরি। কিন্তু দেশের মানুষের কথা মাথায় রেখেই তারা শান্তির পথে হাঁটছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE