Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

নরম ব্রেক্সিট! পদত্যাগ এ বার বিরক্ত জনসনেরও

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়তে মরিয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। চাইছেন তুলনামূলক ‘নরমসরম’ ব্রেক্সিট। প্রয়োজনে ইউনিয়নের সঙ্গে অল্পবিস্তর সমঝোতাতেও রাজি তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
লন্ডন শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৮ ০৩:১৯
Share: Save:

২৪ ঘণ্টায় ৩!

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়তে মরিয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। চাইছেন তুলনামূলক ‘নরমসরম’ ব্রেক্সিট। প্রয়োজনে ইউনিয়নের সঙ্গে অল্পবিস্তর সমঝোতাতেও রাজি তিনি। কিন্তু সেই পথ যে সহজ নয়, তা পরিষ্কার হয়ে গেল পর-পর তিন মন্ত্রীর ইস্তফায়। ফাটল স্পষ্ট তাঁর মন্ত্রিসভায়। তবু মুখে শুকনো ধন্যবাদ জানিয়েই আজ বিদেশমন্ত্রী বরিস জনসনের ইস্তফার চিঠি গ্রহণ করে নিলেন টেরেসা। জানালেন, শীঘ্রই অন্য কাউকে আনবেন মন্ত্রিসভায়।

কিন্তু এই ব্রেক্সিট-জটে তাঁর নিজের আসনই যে টলোমলো! চাপ বাড়ছে ঘরে-বাইরে। এ দিন বিকেল সাড়ে ৫ টায় ওয়েস্টমিনস্টারে নয়া ব্রেক্সিট-পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করার কথা ছিল টেরেসার। অথচ তাল কাটল তার ঠিক আধ ঘণ্টা আগে, জনসনের আচমকা ইস্তফায়।

একটা দিনও পেরোয়নি ইস্তফা দিয়েছেন ব্রেক্সিট-সচিব ডেভিড ডেভিস ও এই বিভাগের দ্বিতীয় শীর্ষ মন্ত্রী। এরই মধ্যে আবার জনসন! সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ব্রিটিশ কূটনীতিকদের একটা বড় অংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়তে চেয়ে গোড়া থেকেই ‘লিভ’ ক্যাম্পেনের ধ্বজা ধরে রেখেছিলেন এই জনসন। তা হলে হঠাৎ কী হল?

টেরেসার ব্রেক্সিট সমঝোতায় তিনি যে একমত নন, জনসন তা আজ স্পষ্ট করে দিয়েছেন তাঁর ইস্তফাপত্রে। তাঁর কথায়, ‘‘কমন রুলবুকের কথা বলে ইউরোপীয় ইয়নিয়নের সঙ্গে যে মুক্ত বাণিজ্যের কথা বলা হচ্ছে, আমার ধারনা, তাতে ব্রিটেনের অর্থনীতির একটা বড় অংশই ওদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আর বাস্তবে এটা আমরা কখনওই আর ফেরত পাব না।’’

এর আগে একই মত পোষণ করে ইস্তফা দিয়েছিলেন ব্রেক্সিট-সচিব ডেভিড। তাঁর কথায়, ‘‘আমার মনে হচ্ছে, ব্রেক্সিটের নয়া পরিকল্পনায় ইইউ-কে বড্ড বেশি পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ব্রেক্সিটে আমার বিশ্বাস আস্থা নেই।’’

২০১৯-এর ২৯ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে আসার কথা ব্রিটেনের। কিন্তু এখনও দু’পক্ষে বাণিজ্য সমঝোতা হয়নি। এ দিকে ব্রেক্সিট-পর্ব নিয়ে টেরেসার দলের মধ্যেই টানাপড়েন বাড়ছে। এর মধ্যে তিন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী বেরিয়ে যাওয়ায় টেরেসা স্পষ্টতই চাপে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE