Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Christchurch

‘অনলাইনে হিংসা ছড়ানো বন্ধ না হলে বিজ্ঞাপন নয়’, প্রতিবাদ এবার বহুজাতিকদের

মসজিদে হামলা ও সেই হামলা সরাসরি সম্প্রচারের প্রতিবাদে ফেসবুক ও গুগল থেকে বিজ্ঞাপন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিউজিল্যান্ডের বড় কয়েকটি বহুজাতিক সংস্থা।

প্রতিবাদে সামিল বহুজাতিকরাও। ছবি: এএফপি

প্রতিবাদে সামিল বহুজাতিকরাও। ছবি: এএফপি

সংবাদ সংস্থা
ক্রাইস্টচার্চ শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৯ ১৭:০৩
Share: Save:

নুর আল মসজিদে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলার ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভস্ট্রিম করেন হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারান্ট। ফেসবুকে ক্রাইস্টচার্চে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ভিডিয়ো সরাসরি সম্প্রচারের পর থেকে তা ব্যাপকভাবে শেয়ার হয় অনলাইনে। সেই সহিংস ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে ফেসবুক, ইউটিউব ও টুইটারের মতো কর্তৃপক্ষ। ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়ো সরিয়ে ফেলতে কাজ করছে ফেসবুক। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ লাখ ভিডিয়ো সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলেও জানিয়েছে ফেসবুক। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীও।

কিন্তু ব্যাপারটা থামছে না এখানেই। মসজিদে হামলা ও সেই হামলা সরাসরি সম্প্রচারের প্রতিবাদে ফেসবুক ও গুগল থেকে বিজ্ঞাপন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিউজিল্যান্ডের বড় কয়েকটি বহুজাতিক সংস্থা। নিউজিল্যান্ড সংবাদ মাধ্যমের খবর, গত শুক্রবার হামলার পরের দিন থেকেই ফেসবুক ও গুগল থেকে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন তুলে নিয়েছে এএসবি ব্যাংক, লোটো এনজে, বার্গার কিং, স্পার্কসহ কয়েকটি কোম্পানি।

নিউজিল্যান্ডে মসজিদে জঙ্গি হামলার সরাসরি সম্প্রচার হওয়ার কারণে আপাত শান্ত দেশটির ভাবমূর্তিতে আঘাত লেগেছে। মানসিক ক্ষতি হয়েছে দেশবাসীরও। এই ঘটনার বিরুদ্ধেই একসঙ্গে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিগুলো। তারপরেই ওই সংস্থাগুলির তরফে যৌথ ভাবে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও কত সময়ের জন্য ফেসবুক ও গুগল থেকে সংস্থাগুলি তাঁদের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনগুলো বন্ধ করেছে, তা এখনই পরিষ্কার নয়।

আরও পড়ুন: মুম্বই হামলাকে ‘ন্যক্কারজনক’ বলে উল্লেখ করল চিন, সন্ত্রাসবিরোধী ভাবমূর্তি তুলে ধরতে তৎপরতা

তবে নিউজিল্যান্ডে সামাজিক মাধ্যমে বা অনলাইনে বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে কয়েক সপ্তাহ আগে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়বার জন্য ইউটিউব থেকে নিজেদের সমস্ত বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে নিয়েছিল একটি বহুজাতিক সংস্থা। চরমপন্থাকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগেও বেশ কয়েকবার অনলাইন বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়ে গিয়েছে বেশ কিছু বহুজাতিক সংস্থার ব্র্যান্ডের।

আরও পড়ুন: ট্রেন লেট ৩ ঘন্টা, সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে লোকাল ট্রেনে আটকে প্রেসিডেন্টও!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE