প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র ব্রেক্সিট বিল নিয়ে বিতর্ক থমকে গেল আবার। নিজের দল কনজ়ারভেটিভ পার্টির অন্দরে কড়া বিরোধিতার মুখে পার্লামেন্টে ভোটাভুটিই স্থগিত হয়ে গেল আজ।
ব্রিটেন সরকারের হুইপ মার্ক স্পেনসার আজ হাউস অব কমন্সে জানিয়েছেন, ব্রেক্সিট বিল নিয়ে কবে আলোচনা হবে, সে ব্যাপারে পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। বিরতির পরে জুনের গোড়ায় ফের পার্লামেন্ট বসলে তখন যদি কিছু হয়, দেখা যাবে।
ইস্তফা দেওয়ার জন্য নিজের দলের এমপি-দের কাছ থেকে এখন প্রবল চাপ আসছে টেরেসার কাছে। টেরেসার নয়া ব্রেক্সিট নীতির প্রতিবাদে কমন্সের নেত্রী অ্যান্ড্রেয়া লিডসোম বুধবার রাতে ইস্তফা দেন। টেরেসা যার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘‘অসম্ভব পরিশ্রমী, দায়িত্ববান, সদাসক্রিয় এক জনকে হারানো খুবই দুঃখজনক।’’ লিডসোম বলেন, ‘‘মে-র ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় যা আছে, তা সমর্থনযোগ্য নয়।’’ লিডসোমের জায়গায় কমন্সের নেতার দায়িত্ব পালন করছেন অর্থমন্ত্রী মেল স্ট্রাইড।
লিডসোমের ইস্তফার পরে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে টেরেসার সরে যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়েও জল্পনা আরও বাড়ে। কাল টেরেসার ঘনিষ্ঠ মহল থেকে শোনা গিয়েছিল, শুক্রবারেই নাকি ইস্তফা দেবেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার স্পষ্ট হয়ে যায়, নিজের ব্রেক্সিট খসড়া চুক্তি না পাশ করিয়ে এত সহজে ইস্তফা দিচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে ঠিক ছিল, আগামিকালই বিলটি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পেশ করবেন মে। কিন্তু বেগতিক দেখে ফের অবস্থান বদলান তিনি। জানানো হয়, ‘নতুন’ খসড়াটি পার্লামেন্টে পেশ করা হবে ৭ জুন।
ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের অনেকেই জানিয়েছেন, এর পরে টেরেসার আর পদে থাকার কথা নয়। স্পেনসারও লেডসোমের সমর্থনে কমন্সে বলেন, ‘‘বিরতির পরে বিল নিয়ে আলোচনার কথা হতে পারে। আমাদের আশা, ৭ জুন ফের আলোচনা হতে পারে।’’
বিদেশসচিব জেরেমি হান্ট বলেছেন, ‘‘জুনের গোড়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লন্ডন সফরে আসবেন। তখনও পর্যন্ত টেরেসাই পদে থাকবেন ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানানোর জন্য।’’ তদারকি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মে ট্রাম্প সফরে থেকে যেতে পারেন। ৩-৫ জুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্রিটেন সফরে আসার কথা।
তবে চতুর্থ বার বিল পেশ করার পরেই টেরেসা ইস্তফা দিতে পারেন বলে মত অনেকের। প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে একদম শুরুতেই রয়েছেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বরিস জনসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy