স্কটিশ পার্লামেন্টের বাইরে ব্রেক্সিট বিরোধী আন্দোলন। ছবি: এএফপি।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের ইউরোপীয় জোট ছেড়ে বেরিয়ে গেল ব্রিটেন। আর সে দিনই লন্ডন থেকে ‘শেষ ট্রেনে’ প্যারিসের উদ্দেশে রওনা দিলেন ব্রিটেনের একটি বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাঝবয়সি মার্টিন কাভানভ। যাচ্ছেন ব্রিটেন-ফ্রান্সের রাগবি ম্যাচ দেখতে। কিন্তু শুক্রবার রাতে ট্রেন ছাড়ার আগে বলে গেলেন, ‘‘আজ আমাদের সবচেয়ে দুঃখের দিন। যখন আমাদের আরও বহির্মুখী হওয়ার কথা, তখনই আমরা নিজেদের আরও গুটিয়ে নিলাম— বাকি বিশ্বের কাছে কিন্তু এই বার্তাটাই গেল।’’ বছর সাতাশের ব্রিটিশ দন্তচিকিৎসক বায়ান পটেলের গলায় অবশ্য অন্য সুর। একই ট্রেন ধরে তিনি গেলেন ফরাসি বান্ধবীর সঙ্গে ছুটি কাটাতে। বলে গেলেন, ‘‘আমরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম। ব্রেক্সিট নিয়ে এখন অনেকেই নেতিবাচক কথা বলছেন, কিন্তু এক দিন হয়তো ইইউ ছাড়ার এই সিদ্ধান্তটাই চমৎকার ফল দেবে।’’
শুক্রবার রাত ৮টা ১০-এ লন্ডনের সেন্ট প্যাং ক্রাস স্টেশন থেকে ছাড়ল ইউরোপগামী ট্রেন। যাত্রীদের কাউকে হতাশ শোনাল, কেউ উদাসীন, তো কেউ উচ্ছ্বসিত। ব্রেক্সিট নিয়ে এমন মিশ্র প্রতিক্রিয়া ধরা পড়ল ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যগুলিতেও। দক্ষিণপন্থী ডেলি এক্সপ্রেস ট্যাবলয়েড লিখল— ‘ওঠো, জাগো.... এটাই নতুন ও উজ্জ্বল ব্রিটেন।’ দ্য সানের শিরোনাম— ‘মাসলস উইদাউট ব্রাসেলস।’ লন্ডন’স স্ট্যান্ডার্ড কার্যত সতর্কবার্তা দেওয়ার মতোই লিখল, ‘আগামীর রাস্তা নিশ্চিত বন্ধুর হতে চলেছে।’ ব্রেক্সিট নিয়ে বিবিসির কভারেজ ঘিরে দেশের বড় অংশে অসন্তোষ তৈরি হয়। আজ তারা শুধু খবরটুকুই তুলে ধরল শিরোনামে— ‘ব্রেক্সিট: ইইউ ছাড়ল ব্রিটেন।’ ফিনান্সিয়াল টাইমসের পাতায়— ‘অবশেষে ইইউ-সঙ্গ ত্যাগ করল ব্রিটেন।’ বামঘেঁষা বলে পরিচিত দ্য গার্ডিয়ানে ইঙ্গিত রইল, ব্রেক্সিটের পরে ব্রিটেন বোধ হয় খুব স্বস্তিতে নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy