Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

স্থানীয় ভোটেও ব্রেক্সিটের ছায়া, হারল দু’টি বড় দল

ব্রেক্সিট-টানাপড়েনে ব্রিটেনের প্রধান দলগুলির ভূমিকায় যে সাধারণ মানুষ হতাশ, তা বেশ বোঝা গেল স্থানীয় নির্বাচনের ফলে।

ব্রেক্সিট-এ প্রতিবাদ। ছবি রয়টার্স।

ব্রেক্সিট-এ প্রতিবাদ। ছবি রয়টার্স।

শ্রাবণী বসু
লন্ডন শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৯ ০২:০২
Share: Save:

ব্রেক্সিট-টানাপড়েনে ব্রিটেনের প্রধান দলগুলির ভূমিকায় যে সাধারণ মানুষ হতাশ, তা বেশ বোঝা গেল স্থানীয় নির্বাচনের ফলে। গতকাল ইংল্যান্ডের ২৪৮টি কাউন্সিল এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ১১টি কাউন্সিলে নির্বাচন হয়েছিল। ভোট হয়েছিল নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ছ’টি মেয়র পদেও। আজ ফলপ্রকাশ হতে দেখা যায়, কনজ়ারভেটিভ ও লেবার, ব্রিটেনের প্রধান দু’টি দলই প্রচুর আসন হারিয়েছে। সে তুলনায় অনেক বেশি আসন জিতেছে লিবারাল ডেমোক্র্যাটস ও গ্রিন পার্টি। এই দু’টি দলই ব্রেক্সিট-বিরোধী।

২০১৮-র আঞ্চলিক নির্বাচনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র কনজ়ারভেটিভ এবং জেরেমি করবিনের লেবার পার্টি, দু’টি দলই ৩৫ শতাংশ করে আসন পেয়েছিল। এ বার দু’দলই পেয়েছে ২৮ শতাংশ আসন। এর আগে মাত্র এক বার, ২০১৩ সালের নির্বাচনে, ৩০ শতাংশের নীচে নেমে গিয়েছিল দু’দলের আসন সংখ্যা।

লিবারাল ডেমক্র্যাটিক দলের নেতা ভিন্স কেব্‌ল জানিয়েছেন, তাঁর দল ব্রেক্সিট-বিরোধী হলেও দেশের যে সব এলাকার মানুষ ২০১৬-র গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেও এ বার লিবারালদের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ভিন্সের কথায়, ‘‘কনজ়ারভেটিভ দলের উপর ভোটারদের যে আর আস্থা নেই, তা এই ফলাফল থেকে স্পষ্ট। একই সঙ্গে বোঝা যাচ্ছে, লেবার পার্টিকেও আর ভরসা করতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। ব্রেক্সিট নিয়ে টালবাহানায় করবিনের দলের শোচনীয় ভূমিকাই এই আস্থা হারানোর প্রধান কারণ।’’

হারের খবর পেয়ে কনজ়ারভেটিভ নেতা ব্র্যান্ডন লুইস বলেন, ‘‘এই নির্বাচন কঠিন হবে জানতাম। তবে ফল এত খারাপ হবে ভাবিনি।’’ আর লেবার নেতা জেরেমি করবিনের কথায়, ‘‘আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BREXIT Theresa May Local Election
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE