ফাইল চিত্র।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছেড়ে বেরোনোর প্রক্রিয়া নিয়ে পার্লামেন্টে ফের ধাক্কা খেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে।
হাউস অব লর্ডসে গত কাল ব্রেক্সিট সংক্রান্ত চারটি ভোটাভুটিতে হার হয়েছে সরকার পক্ষের। ব্রেক্সিটের সঙ্গে-সঙ্গেই ইউরোপের অভিন্ন বাজার এবং শুল্ক ইউনিয়ন ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল টেরেসার। দল-মত নির্বিশেষে একটি সংশোধনী এনে তা আটকে দিয়েছেন উচ্চকক্ষের সদস্যেরা। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন টেরেসার কনজারভেটিভ পার্টির ১৭ জন এবং বিরোধী লেবার পার্টির ৮৩ জন বিদ্রোহী এমপি। অস্বস্তিতে লেবার নেতা জেরেমি করবিনও। কারণ, দলের সদস্যদের ভোটদানে বিরত থাকতে বলেছিল লেবার পার্টি। যা শোনেননি এই ৮৩ জন।
ব্রেক্সিট বিলের খসড়া নিয়ে পার্লামেন্টে সাম্প্রতিক অতীতে ১৪ বার হার হল টেরেসার। ইইউ-এর সঙ্গে পাকাপাকি বিচ্ছেদের দিন চূড়ান্ত করে ফেলেছিল সরকার। তারিখটা ঠিক হয়েছিল, ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ। কিন্তু ব্রেক্সিট বিলে সেই তারিখ উল্লেখ করা যাবে না বলে আরও একটি সংশোধনী পাশ হয়েছে গত কাল। সংশোধনীর অন্যতম সমর্থক, লেবার পার্টির পিটার ম্যান্ডেলসন বলেন, ‘‘ব্রেক্সিটের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং বাস্তব বোধবুদ্ধিকেই গুরুত্ব দিতে হবে। রাজনৈতিক ঔদ্ধত্য ও আকাঙ্ক্ষাকে নয়। এখন তারই সময় এসেছে।’’ হাউস অব লর্ডসে আটকে যাওয়ার পরে বিল এখন ফেরত যাবে হাউস অব কমন্সে। দুই কক্ষে পাশ হলে তা আইনে পরিণত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy