Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

নির্বাচন ঘিরে হন্ডুরাস অশান্ত, জারি কার্ফু

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে হন্ডুরাসে শাসক ও বিরোধী সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ছড়িয়েছে আগেই। তার জেরেই শুক্রবার রাত থেকে দেশ জুড়ে জারি হল কার্ফু। এ দিন টিভি-রেডিওয় সরকারি ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী দশ দিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত এই অবস্থা জারি রাখা হবে।

সংবাদ সংস্থা
হন্ডুরাস শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৫
Share: Save:

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে হন্ডুরাসে শাসক ও বিরোধী সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ছড়িয়েছে আগেই। তার জেরেই শুক্রবার রাত থেকে দেশ জুড়ে জারি হল কার্ফু। এ দিন টিভি-রেডিওয় সরকারি ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী দশ দিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত এই অবস্থা জারি রাখা হবে।

গত রবিবার ছিল হন্ডুরাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট, শাসক দল ন্যাশনাল পার্টি অব হন্ডুরাসের নেতা হুয়ান অর্ল্যান্ডো হার্নান্ডেজের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন অ্যান্টি কোরাপশন দলের নেতা, পেশায় সাংবাদিক সালভাদর নাসরাল্লা। নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকে মালুম হচ্ছিল, দু’পক্ষের লড়াই জোরদার হতে চলেছে। কিন্তু ভোট মিটে যাওয়ার ৬ দিন পরেও গণনা শেষ না হওয়ায় সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগেই হার্নান্ডেজ ও নাসরাল্লা— দু’জনেই নিজেদের বিজয়ী বলে ঘোষণা করেন।

এই পরিস্থিতিতেই সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। পাথর ছুড়ে, ভাঙচুর চালিয়ে প্রতিবাদে নেমে পড়ে দু’পক্ষই। স্থানীয় সূত্রের খবর, সান পেড্রো সুলায় একটি ব্যাঙ্কে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। লুঠ হয় একাধিক দোকান। হাইওয়ে আটকে, রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে চলে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। এমনকী অনেক জায়গায় আগুনের গণ্ডি কেটে তার মধ্যে শিশু-সহ বাবা-মায়েদের দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। বিক্ষোভ ঠেকাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে বিক্ষোভকারীদের। পুলিশ সূত্রের খবর, সংঘর্ষের জেরে গুরুতর জখম হন অন্তত ১২ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষমেশ কার্ফু জারি করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

সম্প্রতি হন্ডুরাসের নির্বাচন সংক্রান্ত আদালত জানিয়েছিল, ৯৫ শতাংশ ভোট গণনা হয়ে গিয়েছে। বাকি আর মাত্র ১০৩১টি ব্যালট বাক্স। এ পর্যন্ত গণনা অনুযায়ী, নাসরাল্লার থেকে প্রায় ৪৬ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট হার্নান্ডেজ। তা সত্ত্বেও দু’জনেই নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করে বসে আছেন।

শুক্রবার দিনের দ্বিতীয়ার্ধে বাকি ভোট গণনার কথা ছিল। নির্বাচন আদালত জানিয়েছিল, দু’দলের প্রতিনিধির উপস্থিতিতেই বাকি ব্যালট গুনে দেখা হবে। সময় লাগবে ৬ ঘণ্টা। চূড়ান্ত গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও ঘোষণা করা হবে না বলেও জানানো হয়। কিন্তু নাসরাল্লার তরফে আদালতে কোনও প্রতিনিধি হাজির না থাকায় এ দিনও শেষ হল না ভোটপর্ব।

আপাতত এই অগ্নিগর্ভ অবস্থায় নাসরাল্লা ও হার্নান্ডেজ, দু’জনেই দলীয় সমর্থকদের শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন। কার্ফু জারির পর দেশের সার্বিক পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও ভোটের ফল এখনও বিশ বাঁও জলেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE