বেজিংয়ে বানানো সেই ‘চাঁদ’!
বেজিংয়ে ‘চাঁদ’-এ ঢুকে পড়লেন চার চিনা নাগরিক! বুধবার। চাঁদে থাকতে, হাঁটাহাঁটি করতে, বেশ কিছু ক্ষণ সময় কাটাতে কেমন লাগে, তা বুঝতে সামনের দু’মাস ওই ‘চাঁদ’-এই থাকবেন চার জন। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন দুই মহিলাও। চিনের সরকারি সংবাদসংস্থা ‘জিনহুয়া’ এই খবর দিয়েছে।
নিল আর্মস্ট্রং, বাজ অলড্রিনের মতো অল্প সময়ের জন্য চাঁদের মাটিতে নামতে চান না চিনা মহাকাশচারীরা। চাঁদের মাটিতে নেমে তাঁরা কাটাতে চান অনেকটা সময়। পৃথিবীর নিরিখে বেশ কিছু দিন। কিন্তু চাঁদের মাটিতে নেমে দীর্ঘ দিন কাটানোটা তো খুব একটা সহজ কাজ নয়। সেখানে তো কোনও মহাকর্ষীয় বল নেই। যাকে বলে একেবারে ‘মাইক্রো-গ্র্যাভিটি’র অবস্থা। ভেসে থাকা। তাই চাঁদের মাটিতে নেমে বেশ কিছু দিন সেখানে থাকার তোড়জোড় ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন চিনারা। তার জন্য বেজিং শহরেই বানানো হয়েছে কেবিন। যেন কৃত্রিম চাঁদ! যে কেবিনের ভেতরের পরিবেশটা একেবারে চাঁদের মতো। যেন চাঁদই নেমে এসেছে বেজিংয়ে বানানো ওই কেবিনে। আগামী বছর ওই কেবিন ‘য়ুগং-১’-এই কাটাবেন ৮ চিনা, চাঁদের পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিতে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন যেমন দুঁদে মহাকাশচারী, তেমনই রয়েছেন সাধারণ নাগরিকও।
আরও পড়ুন- মেঘ নেমে আসছে? হামলে পড়বে আমাদের ওপর? শঙ্কা নাসার গবেষণায়
‘জিনহুয়া’ জানিয়েছে, বিজ্ঞানীরা আসলে বুঝে নিতে চাইছেন, প্রাণী, উদ্ভিদ আর জীবাণু (মাইক্রো-অরগ্যানিজম) কী ভাবে একই সঙ্গে পাশাপাশি অনেকটা সময় কাটাতে পারেন চাঁদে, নিরাপদে, নির্ঝঞ্ঝাটে। দু’মাস পর আরও চার জন ঢুকবেন ওই কেবিনে। তাঁদের মধ্যেও থাকবেন দুই মহিলা। তাঁরা বেজিংয়ের ওই ‘চাঁদ’-এ কাটাবেন টানা ২০০ দিন। মানে, প্রায় সাত-সাতটা মাস! তার পর প্রথম যে চার জন বেজিংয়ের ওই ‘চাঁদ’-এ কাটিয়েছিলেন, তাঁরাই বাকি ১০৫ দিন বা তিন মাসের কিছুটা বেশি সময় আবার কাটিয়ে আসবেন সেখানে। তাঁরা যে বিষয়গুলি নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করবেন, বিজ্ঞানের পরিভাষায় তার নাম- ‘বায়ো-রিজেনারেটিভ লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম’ (বিএলএসএস)। এর আগে, ২০১৪ সালে ১০৫ দিন ধরে প্রায় একই রকমের পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো হয়েছিল চিনে। তবে তার পর আরও সর্বাধুনিক হয়েছে বেজিংয়ের ওই ‘চাঁদ’। ওই ‘চাঁদ’-এই পৃথিবীর মতো পরিবেশ গড়ে তুলে কৃত্রিম ভাবে বানানো হবে জল ও খাবারদাবার। ওই কেবিনে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy