ফাইল চিত্র।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও প্রসারিত করতে আগামী ১৩ তারিখ ব্রাসেলসে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মোদীর সফরে সেই বিষয়টি কী ভাবে উঠে আসে, সে দিকে নজর রাখছেন কূটনীতিক ও কূটনীতি বিশেষজ্ঞেরা। নজর রাখছে বেশ কিছু দেশও।
ব্রাসেলসে মোদীর এই বৈঠকের মাস খানেক আগে সিএএ-বিরোধী প্রস্তাবে ভোটাভুটি করার পথে এগিয়েছিল ইইউ-পার্লামেন্ট। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনি শাখা। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ হোক বা সিএএ— বারবারই সরব হয়েছেন এর প্রতিনিধিরা। সিএএ-বিরোধী প্রস্তাবে তাঁরা মোট দশটি ভাগে ভাগ করে তাঁদের পর্যবেক্ষণ ও মতামত জানিয়েছিলেন। ছ’টি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে আনা ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, ‘ভারত সরকারকে এই মর্মে সতর্ক করা হচ্ছে যে, সেখানকার ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদ ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যের জন্ম দিচ্ছে।’
কূটনৈতিক সূত্রের খবর, মোদীর আসন্ন সফরে ইইউ-কে এই বার্তাই দেওয়া হবে যে, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাদের নাক গলানো উচিত নয়। কারণ, তাতে একটি গণতান্ত্রিক দেশের অধিকার ও সার্বভৌমত্ব প্রশ্নের মুখে পড়ে। কিন্তু এই বার্তা এমন ভারসাম্য রেখে দিতে হবে, যাতে বিনিয়োগ বা বাণিজ্যে তার ছায়া না-পড়ে। এটাকেই আপাতত মোদীর সফরের বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন সাউথ ব্লকের কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy