মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো। —ফাইল চিত্র
আমেরিকার সঙ্গে সদ্য সমাপ্ত ‘টু প্লাস টু’ বৈঠকের ঠিক পরে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো নয়াদিল্লিকে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, দেশে যে সরকারই থাক, আমেরিকা সংখ্যালঘুদের অধিকারকে পরম শ্রদ্ধা করে এবং তারা ধর্মাচরণের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।
বুধবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে আমেরিকার বিদেশ এবং প্রতিরক্ষা সচিবের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি হয়। তার পরেই আলোচনায় উঠে এসেছে ভারতে সম্প্রতি পাশ হওয়া নয়া নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত প্রতিবাদের প্রসঙ্গ। ট্রাম্প প্রশাসনের কেন্দ্রীয় বিষয় যে ধর্মাচরণের স্বাধীনতা সে কথা জয়শঙ্করকে সাফ জানানো হয়েছে মার্কিন কর্তাদের পক্ষ থেকে। সূত্রের খবর, বৈঠকে পম্পেয়ো এ কথাও জানিয়েছেন যে, ভারতীয় সংবিধান এবং গণতন্ত্রের প্রতি তাঁরা আস্থাশীল। একটি আইনকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক চলছে সে ব্যাপারে তাঁরা সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যম ও রাজনৈতিক দলগুলি উত্তাল। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে তার পুনর্বিবেচনা হবে। এই প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কেই তাঁরা যে আস্থাশীল সে কথাও বলেছেন পম্পেয়ো।
বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, বৈঠকে এই আইনের পূর্ণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন এস জয়শঙ্কর। মুখপাত্র রবীশ কুমারের কথায়, ‘‘বিদেশমন্ত্রী মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের পরিপ্রেক্ষিত ব্যাখ্যা করেছেন। বলা হয়েছে, নয়া নাগরিকত্ব আইন কোনও ভাবেই বৈষম্যমূলক নয়। এই আইনের উদ্দেশ্যও নয় কোনও বিশেষ ধর্মের মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া। এটি একান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy