প্যারিসে পরিত্যক্ত একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হল প্রচুর কালাশনিকভ রাইফেল।
হামলার ঘটনার আগে জঙ্গিরা ওই গাড়িটি চড়ে প্যারিসে ঘোরাঘুরি করেছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। হামলার পরেও গাড়িটি ব্যবহার করা হয়েছে। যেহেতু গাড়িটির হদিশ মিলেছে প্যারিসের পূর্ব প্রান্তের একটি মফস্বল শহর মন্ত্রিউইয়ে, তাই পুলিশের অনুমান, প্যারিসে বার, রেস্তোরাঁ ও বাতাক্লাঁ মিউজিক হলে হামলার ঘটনার পর জনাকয়েক জঙ্গি কালো রঙের ওই সিয়াট গাড়িটি নিয়ে মন্ত্রিউইয়ের দিকে পালিয়েছিল। পুলিশ তাদের পিছু নিতে পারে ভেবে, তারা পরে গাড়িটিকে মন্ত্রিউইয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ফেলে রেখে যায় প্রচুর কালাশনিকভ রাইফেল, গোলা-বারুদ আর বিস্ফোরক লাগানো বেল্ট। আত্মঘাতী জঙ্গিরা যে ধরনের বেল্ট গায়ে বা কোমরে বেঁধে রাখে।
প্যারিসে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বেলজিয়ামেও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক জন ধরা পড়েছে ব্রাসেলসে। বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী শার্ল মিশেল বলেছেন, ‘‘দেখা হচ্ছে, ব্রাসেলসে যে ধরা পড়েছে, শুক্রবার রাতে সে প্যারিসে ছিল কি না। তবে একটা ব্যাপারে আমরা মোটামুটি ভাবে নিশ্চিত যে, তিনটি দলে ভাগ হয়েই প্যারিসে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা।’’ প্যারিসে নিহত এক ফরাসি জঙ্গির ঘনিষ্ঠ ছয় জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে।
জঙ্গিদের ব্যবহার করা আরও দু’টি গাড়ির খোঁজেও চালানো হচ্ছে জোর তল্লাশি। প্রথমটি একটি কালো পোলো গাড়ি। প্যারিসের দু’টি জায়াগায় হামলা করার জন্য যে গাড়িতে চড়ে গিয়েছিল জঙ্গিরা। গাড়িটি আপাতত বেহদিশ। আরও একটি কালো রঙের ফোক্সভাগেন গাড়ি ব্যবহার করেছিল জঙ্গিরা। সেই গাড়িটি চড়েই জঙ্গিরা গিয়েছিল বাতাক্লাঁ মিউজিক হলে। গাড়িটিতে বেলজিয়ামের নাম্বার প্লেট লাগানো ছিল। গাড়িটা ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। সেই গাড়ির চালক ছিলেন এক জন ফরাসি নাগরিক। সেই চালককে দুই যাত্রী নিয়ে শনিবার সকালে বেলজিয়াম সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকতে দেখা গিয়েছে বলে বেলজিয়াম পুলিশ জানিয়েছে। কারও মতে, ওরা আদতে ওই জঙ্গিদেরই আরও একটি টিম। তাদের রাখা হয়েছিল ‘রিজার্ভ’-এ। যে জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে, তারা ব্যর্থ হলে ওই টিমটাকে ব্যবহার করা হত। প্যারিসে হামলার ঘটনার পরপরই তারা পালিয়ে গিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy