Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

চাবাহারের কাছেই চিনের নয়া সেনা ঘাঁটি ঘিরে জল্পনা

চিনের সরকারি দৈনিক গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে খুব স্পষ্ট করেই পাকিস্তানকে আর্থিক সহযোগিতার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। এ বার চিনেরই এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে খুব শীঘ্রই দেশের বাইরে নিজেদের দ্বিতীয় সামরিক ঘাঁটি তৈরি করতে চলেছে চিন।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
বেজিং শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:২৪
Share: Save:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাক সরকারকে আর্থিক অনুদান বন্ধের হুমকি দেওয়ার পর পরই ইসলামাবাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল তাদের পড়শি দেশ চিন। চিনের সরকারি দৈনিক গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে খুব স্পষ্ট করেই পাকিস্তানকে আর্থিক সহযোগিতার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। এ বার চিনেরই এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে খুব শীঘ্রই দেশের বাইরে নিজেদের দ্বিতীয় সামরিক ঘাঁটি তৈরি করতে চলেছে চিন। যা কি না ইরানের চাবাহার বন্দরের কাছেই হবে।

পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। তা আরও দৃঢ় হয় পাঁচ হাজার কোটি ডলারের চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডোর গঠনের পর থেকে। নববর্ষে পাকিস্তানকে আর্থিক অনুদান বন্ধের হুমকি দেওয়ার পরপরই পাক সামরিক আর নিরাপত্তা খাতে মোটা অঙ্কের আর্থিক অনুদান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন সরকার। আর এর মধ্যেই পাকিস্তান সরকার দু’দেশের আর্থিক লেনদেনের সময় চিনা মুদ্রা ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে বেজিংকে। তবে নয়া চিনা সামরিক ঘাঁটি নিয়ে মুখ খোলেনি কোনও দেশের সরকারই।

হর্ন অব আফ্রিকার জিবুতিতে ইতিমধ্যেই সামরিক ঘাঁটি তৈরি করে রেখেছে চিন। যদিও মুখে সে কথা কোনও দিনই স্বীকার করেনি বেজিং। তারা বরবার বলে এসেছে জলদস্যু দমন অভিযানে জিনিসপত্র সরবরাহ করার জন্য জিবুতির ওই ঘাঁটি ব্যবহার করে তারা। শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা বন্দরও ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়ে রেখেছে চিন। এ ছাড়া পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশের গ্বাদর বন্দরেও কর্তৃত্ব রয়েছে চিনের। চিনের নতুন ঘাঁটি গ্বাদর থেকে মাত্র ৮৫ কিলোমিটার দূরে জিওয়ানিতে হওয়ার কথা।

গত বছরের একেবারে শেষের দিকে ইরানের চাবাহার বন্দরের উদ্বোধন হয়। ওমান উপসাগরে তৈরি এই বন্দরের মাধ্যমে পাকিস্তানের মাটি এড়িয়ে আফগানিস্তানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করতে পারছে ভারত। এই অবস্থায় পাকিস্তানের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে চাবাহারের পাশেই আরও একটি সামরিক ঘাঁটি তৈরি ওই এলাকায় চিনের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করবে বলে মনে করছেন অনেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE