প্রতীকী ছবি।
ফ্রোজেন ফুডেও কি থেকে যাচ্ছে করোনার জীবাণু? চিনের বন্দরে লক্ষণহীন দুই কর্মীর মধ্যে কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়ার পর তেমন সম্ভাবনাই জোরদার হচ্ছে। সেই সঙ্গে অগস্টের পর এই প্রথম চিনে লক্ষণহীন করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় নতুন করে উদ্বেগে বেজিং। ইতিমধ্যেই কয়েকটি দেশ থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বার ফ্রোজেন ফুড বা হিমায়িত খাদ্যপণ্যেও নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে বলে আশঙ্কা।
বন্দর কর্মীদের রুটিন চেক আপের সময় সম্প্রতি শেংডং প্রদেশের কুইংডাও শহরে বন্দরের দুই কর্মীর মধ্যে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। বন্দরের পণ্য খালাসের কাজ করেন ওই দুই কর্মী। সম্প্রতি জাহাজে আসা হিমায়িত মাছ ও মাংস নামানোর কাজ করেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কোনও করোনার লক্ষণ ছিল ছিল না। কিন্তু প্রথমে র্যাপিড টেস্ট এবং পরে আরটিপিসিআর টেস্টে পজিটিভ রিপোর্ট আসে ওই দু’জনের। তার পরেই নতুন করে তৎপরতা শুরু হয়েছে। কুইংডাওয়ের স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ওই দু’জনের সংস্পর্শে আসা ১৩২ জনকে কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে। তাঁদের সবার টেস্ট করা হয়েছে। তবে ৩ জনের রিপোর্ট এখনও আসেনি। বাকি ১২৯ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ।
বিশ্বের বহু দেশের মতো মোট সংক্রমিতের মধ্যে উপসর্গহীনদের আলাদা করে চিহ্নিত করছে চিনও। তার পর লক্ষণহীনদের কারও মধ্যে জ্বর, শ্বাসকষ্ট বা করোনার অন্য কোনও উপসর্গ দেখা দিলে তাঁদের তখন সংক্রমিতদের তালিকায় ঢোকানো হচ্ছে। চিনে শেষ লক্ষণহীন সংক্রমণ ধরা পড়ছিল গত ১৫ অগস্ট।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ কোভিড পরীক্ষা দেশে, সংক্রমণের হার নামল ৫.৭৭ শতাংশে
আরও পড়ুন: প্রয়াত এস পি বালসুব্রহ্মণ্যম, সঙ্গীতজগতে শোকের ছায়া
চিনের বন্দরে আসা হিমায়িত সামুদ্রিক মাছ, মাংস এবং সেগুলির কন্টেনারে করোনার জীবাণু মেলায় সম্প্রতি ইকুয়েডর, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া থেকে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বেজিং। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনস্ট্রেশনের দাবি, হিমায়িত খাদ্যপণ্য বা প্যাকেজিং থেকে করোনা সংক্রমণেরর কোনও নজির এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। যদিও চিনের গবেষকদের দাবি, হিমায়িত স্যামন মাছে ৭ দিন পর্যন্ত করোনার জীবাণু থাকতে পারে। ফলে ওই তিন দেশ থেকে আমদানি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক হলেও অবস্থান বদলায়নি চিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy