চিনা পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। ছবি: এএফপি।
সপ্তাহখানেক আগেই চিনের পার্লামেন্টে হংকংয়ের জন্য নতুন নিরাপত্তা বিলের খসড়া প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল। তখনই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। আজ চিনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস সেই বিতর্কিত বিলে সায় দিল। আগামী অগস্টের মধ্যেই বিলটি আইনে পরিণত হবে। যার ফলে স্বায়ত্তশাসিত এই শহরের বাসিন্দাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আরও ক্ষুণ্ণ হবে বলে মনে করছেন অনেকে। একই সঙ্গে নতুন আইনে হংকংয়ের উপরে চিনের রাশ আরও পোক্ত হবে বলেই বিশেষজ্ঞদের মত। যদিও বেজিংয়ের দাবি, হংকংয়ের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না-হয়, তার জন্যই এই নতুন বিলটি আনা হয়েছে।
চিনা পার্লামেন্টের অধিবেশনের আজই ছিল শেষ দিন। চিনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্যছিয়াং আজ বলেন, “হংকংয়ের মানুষের জন্য এই বিল অত্যন্ত জরুরি ছিল। হংকংয়ের জন্য বরাবর এক দেশ দুই নীতি অবলম্বন করেছে চিন। নতুন আইনে সেই নীতিই আরও দৃঢ় হবে।” নতুন আইনে দেশদ্রোহ, সন্ত্রাসবাদ কঠোর ভাবে দমন করার ইঙ্গিত দেওয়া রয়েছে। যা প্রকারান্তরে হংকংয়ের মানুষের স্বাধীনতা খর্ব করার আরও একটি উপায় মাত্র বলে মনে করছেন সেখানকার গণতন্ত্রকামী নেতানেত্রীরা। নতুন আইনের জোরে চিন প্রয়োজনে মূল ভূখণ্ড থেকে নিরাপত্তা বাহিনী পাঠাতে পারবে হংকংয়ে।
গত বছরের একটা বড় অংশ জুড়ে চিন-বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল হংকং। পাশে দাঁড়িয়েছিল আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো পশ্চিমী দেশগুলি। তখন সরাসরি বলপ্রয়োগ না করলেও বিদেশি হস্তক্ষেপ তারা বরদাস্ত করবে না বলে একাধিক বার কড়া বার্তা দেয় শি চিনফিংয়ের দেশ।
নয়া এই আইন নিয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো। তাঁর সাফ কথা, এই আইন চালু হওয়ার পরে আমেরিকা আর হংকংকে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বিশেষ মর্যাদা দিতে পারবে না। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy