ফোনের জন্য কিডনি বিক্রি? শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এমনটাই ঘটতে চলেছিল চিনে। আইফোন ৬এস কেনার পয়সা ছিল না বলে কিডনি বিক্রি করতে গিয়েছিলেন দুই বন্ধু।
আসলে চিনের জিয়াংসু রাজ্যের ইয়ুর বড় সাধ ছিল, সম্পত্তির মধ্যে একটা আইফোন থাকুক! তা, একেবারে নতুন আপডেটেড ভার্সন যখন বাজারে এসেই গিয়েছে, তখন কি আর অন্যের ব্যবহার করা পুরনো মডেল কিনতে ইচ্ছে হয়! ইয়ুরও হয়নি। কিন্তু, সাধ পূরণে সমস্যা ছিল একটাই। প্রায় লাখ খানেক টাকা খরচ করাটা তার সাধ্যের মধ্যে পড়ে না। তাহলে উপায়?
বুদ্ধিটা বাতলে দিল তার বন্ধু হুয়াং! সাধের ফোন বিক্রির টাকাটা তোলার জন্য একটা কিডনি বিক্রি করে দিলেই তো হয়! দুটো কিডনি আর মানুষের কীই বা কাজে আসে! তার চেয়ে ঢের বেশি কাজ দেবে ওই আইফোন ৬এস। আর, শুধু ইয়ু নয়, তার সঙ্গে কিডনি বিক্রি করবে হুয়াংও। তারও তো একটা আইফোন ৬এস চাই!
যেমন ভাবা, তেমন কাজ! নানজিং-এর এক মেডিক্যাল এজেন্টের সঙ্গে সব কথা পাকাও করে ফেলল ইয়ু আর হুয়াং। তার পর, নির্ধারিত দিনে হাসি মুখেই দুই বন্ধু গেল কিডনি বিক্রি করতে।
কিন্তু, যেমনটা আশা করেছিল তারা, তেমনটা ঠিক হল না। কথা মতো, কিডনি বিক্রিতে সাহায্য করার জন্য হাজির হল না সেই মেডিক্যাল এজেন্ট।
তবে, হুয়াং হাল ছাড়ল না। যে ভাবেই হোক, কিডনি বিক্রি সে করবেই! সেটাও ওই দিনেই।
ইয়ু-র অবশ্য তত ক্ষণে সুবুদ্ধি ফিরে এসেছে! এক বার বাধা পড়াতেই সে বুঝতে পেরেছে, বেআইনি পথে কিডনি বিক্রি করলে কী কী ঝামেলা হতে পারে! হুয়াংকেও সে সেটা বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু, হুয়াং সে কথা কানে তুললে তো! নিজের কিডনি তো সে বিক্রি করবেই, এমনকী, দরকার হলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিক্রি করবে ইয়ুরও কিডনি!
বিপদ বুঝে ইয়ু তখন নিজের সাধারণ ফোনটা থেকেই খবর পাঠায় পুলিশে। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। আর বেগতিক বুঝে, সটান পগার পার হয় হুয়াং! কোথায় সে গা ঢাকা দিয়েছে, সেটা এখনও পর্যন্ত খুঁজে পায়নি জিয়াংসুর পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy