ফের প্রশ্নের মুখে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ। আল কায়দার প্রয়াত নেতা ওসামা বিন লাদেন নন, আমেরিকায় ৯/১১-র হামলায় মূল চক্রী ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ও খোদ সিআইএ— এমন অভিযোগ ছিল গোড়া থেকেই। এ বার অভিযোগ আরও জোরালো। সিআইএ-র গলদই এই সন্ত্রাস-হামলার জন্য অনেকাংশে দায়ী কিনা, উঠল প্রশ্ন।
সিআইএ-র তরফে সদ্য প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ২০০১-য় ভয়াবহ সেই হামলা রুখতে সিআইএ যথেষ্ট তৎপর ছিল কিনা তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে সংস্থারই অন্দরে। আধিকারিকদের একাংশের মতে, গোয়েন্দারা সক্রিয় হলেই আটকানো যেত ৯/১১। কিন্তু লাদেনকে নিয়ে বেশি মাথা ঘামাতে গিয়েই বিপর্যয় সামাল দেওয়া যায়নি বলে অভিযোগ।
বিতর্কের সূত্রপাত ২০০৫-এ সিআইএ-র ইনস্পেক্টর জেনারেল জন হেলগারসনের একটি পর্যবেক্ষণকে ঘিরেই। প্রকাশিত রিপোর্ট মোতাবেক— হেলগারসন নাকি বলেছিলেন, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আল কায়দায় হামলার আগে অবধিও জঙ্গি সংগঠনটির বিরুদ্ধে লড়ার সার্বিক কৌশল এবং পর্যাপ্ত ক্ষমতা ছিল না সিআইএ-র।
এই রিপোর্টটির একটি সারসংক্ষেপ প্রকাশিত হয়েছিল ২০০৭ সালে। শুক্রবার প্রকাশিত সিআইএ-র সামগ্রিক রিপোর্টেও তার উল্লেখ রয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, জঙ্গি-দমনে সিআইএ-র রণকৌশল কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল জর্জ টেনেটের সঙ্গে তীব্র মতবিরোধ ছিল তাঁর অধঃস্তন অফিসারদের সঙ্গে।
কেমন সেই দ্বন্দ্ব? রিপোর্ট বলছে, সেই বছরেই হেলগারসনের কাছে একটি চিঠিতে টেনেট এই রিপোর্টের প্রতিবাদ করেন। তিনি লেখেন, ‘‘আপনার রিপোর্ট আমার পেশাদারিত্ব, দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। আমেরিকার ক্ষতি রুখতে প্রয়োজনীয় সব তথ্যই আমরা দিয়েছিলাম। আগাম সতর্কও করা হয়েছিল প্রশাসনকে। ’’
১৯৯৮ সালে পূর্ব আফ্রিকার মার্কিন দূতাবাসে বোমা বিস্ফোরণের পরে টেনেট জানান, তিনি আগেই তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনকে এই ধরনের হামলা নিয়ে সতর্ক করেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy