কেটি হোলি
আচমকাই ঘুমটা ভেঙে গিয়েছিল কেটি হোলির। কী যেন একটা কানের মধ্যে! ঠান্ডা, মাঝে-মধ্যে নড়ে উঠছে। সঙ্গে সঙ্গে বাথরুমে গিয়ে বেশ কয়েকবার কানে আঙুল ঢুকিয়ে বোঝার চেষ্টা করলেন কেটি। কিন্তু অতটা ভিতরে আঙুল পৌঁছল না। শেষে তুলো দিয়ে কানের ভিতর থেকে বস্তুটিকে বার করার ক্রমাগত চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। কিন্তু তুলোয় যে জিনিসটা উঠে এল তা দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন তিনি। ঠিক যেন বাদামি রঙের পতঙ্গের ছেঁড়া পালক আর কাঁটা কাঁটা পা। কানের মধ্যে আরশোলা! ঘাবড়ে যান কেটি। সেই আরশোলা বার করতে লাগল ৯ দিন! সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ফ্লোরিডায়।
এক ম্যাগাজিনে নিজের ব্লগে কেটি সে দিনের সেই ভয়ানক রাতের বিবরণ লেখেন। সেই ব্লগ থেকেই ঘটনাটি সামনে আসে। সম্প্রতি স্বামী জর্ডনের সঙ্গে ফ্লোরিডায় তাঁদের নতুন বাড়িতে বসবাস শুরু করেন কেটি। ঘরগুলো খুবই অন্ধকার এবং স্যাঁতসেতে। তাই বাড়িতে আরশোলার উপদ্রব খুব বেশি ছিল। কয়েক সপ্তাহ আগেই এক সংস্থা সারা বাড়িতে আরশোলার উপদ্রব ঠেকাতে স্প্রে করে দিয়ে যায়। তাতে কিছুটা রেহাই মিলেছিল। কিন্তু খুব বেশি দিন স্প্রে-র প্রভাব ছিল না। ফের তা বাড়তে শুরু করে।
তখন প্রায় রাত পৌনে ২টো। কানের মধ্যে ভয়ঙ্কর অস্বস্তিতে ঘুম ভেঙে যায় কেটির। তুলোয় ছিঁড়ে উঠে আসা পালক আর পা দেখে অনুমান করেন কানে আরশোলা ঠুকেছে। ঘুম থেকে ডেকে তোলেন স্বামী জর্ডনকে। কানের ভিতরে ফ্লাশ লাইট মেরে জর্ডন দেখেন অনুমান একদম ঠিক। ক্রমাগত ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে পতঙ্গটি। কোনওক্রমে চিমটে দিয়ে ধরে টেনে তার দুটো পা বাইরে আনতে পেরেছিলেন জর্ডন। কিন্তু হাতের নাগালে আসার আগেই দ্রুত চিমটে ছাড়িয়ে আরও গভীরে ঢুকে পড়ে সেটি। তারপর আর আরশোলাটিকে ধরা যায়নি। দেরি না করে স্ত্রী কেটিকে নিয়ে হাসপাতাল দৌড়ন জর্ডন। সেখানে নার্স আরশোলাটিকে মারার জন্য কানের মধ্যে সূচ ঢুকিয়ে ইঞ্জেকশন দেন। কেটি ওই ম্যাগাজিনে নিজের ব্লগে লিখেছেন, কিছু ক্ষণ পর আরশোলাটির নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। ডাক্তাররা চিমটে দিয়ে আরশোলার দেহাংশ বের করে আনেন। সংক্রমন এড়ানোর জন্য কিছু কানের ড্রপ লিখে দেন।
আরও পড়ুন: দেখে বলুন তো কে মা আর কে মেয়ে?
কিন্তু বাড়ি ফিরেও কেমন একটা অস্বস্তি সারা ক্ষণ তাঁর কানে হত। ওষুধও ভিতরে প্রবেশ করতে পারত না। ৯ দিন পর ফের হাসপাতালে যান তাঁরা। আর তখনই ভিতর থেকে আরও দুটো পা আর আরশোলার দেহের আরও ৬টি টুকরো বার হয়।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যকর ককরোচ জুস! ২০০ মিলিলিটারের দাম কত জানেন?
এখন কেটি সম্পূর্ণ সুস্থ। কানে আরও কোনও আরশোলা নেই। কিন্তু তবুও আতঙ্ক যায়নি। তাই রাতে ঘুমনোর সময় ইয়ারফোনটা ভোলেননা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy