Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

ট্রাম্পের শ্বশুর-শাশুড়িকে নাগরিকত্ব, বিতর্কের ঝড়

গত কাল নিউ ইয়র্কের ফেডারেল প্লাজ়ায় দেশের নতুন নাগরিক হিসেবে শপথ নিয়েছেন নাভস দম্পতি। মার্কিন দৈনিকে যে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছেন অনেকেই। যে ট্রাম্প কড়া অভিবাসন নীতির পক্ষে সওয়াল করে বাকিদের জন্য আমেরিকায় ঢোকার রাস্তা বন্ধ করছেন, সেই ট্রাম্পেরই আত্মীয়রা এ ভাবে দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যাওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উপচে পড়ছে।

মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৮ ০৩:১৫
Share: Save:

খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। গত বছর নভেম্বরেই একটা টুইট করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। লিখেছিলেন, ‘‘চেন মাইগ্রেশন এখনই বন্ধ হওয়া উচিত। কিছু মানুষ এখানে আসেন আর গোটা পরিবারকে সঙ্গে আনেন। যাঁরা হয়তো খুবই খারাপ মানুষ। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’’ আট মাসের মাথায় ওই
একই অভিবাসন নীতি মেনে আমেরিকার নতুন নাগরিক হলেন ভিক্টর এবং আমালিজা নাভস। সম্পর্কে যাঁরা মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের বাবা-মা, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শ্বশুর-শাশুড়ি!

গত কাল নিউ ইয়র্কের ফেডারেল প্লাজ়ায় দেশের নতুন নাগরিক হিসেবে শপথ নিয়েছেন নাভস দম্পতি। মার্কিন দৈনিকে যে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছেন অনেকেই। যে ট্রাম্প কড়া অভিবাসন নীতির পক্ষে সওয়াল করে বাকিদের জন্য আমেরিকায় ঢোকার রাস্তা বন্ধ করছেন, সেই ট্রাম্পেরই আত্মীয়রা এ ভাবে দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যাওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উপচে পড়ছে।

নাভসদের আইনজীবী খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন। এবং ইঙ্গিত দিয়েছেন ‘চেন মাইগ্রেশন’ পদ্ধতিতেই মার্কিন নাগরিকের স্বীকৃতি পেয়েছেন মেলানিয়ার বাবা-মা। বিষয়টি ‘প্রশাসনিক’ নয় বলে মন্তব্য করতে চাননি মেলানিয়ার ব্যক্তিগত মুখপাত্র। তবে বাবা-মায়ের
শপথ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন না মেলানিয়া। খবর, ট্রাম্পের সঙ্গে নিউ জার্সিতে সপ্তাহান্তের ছুটি কাটাতে গিয়েছেন তিনি।

১৯৭০ সালে স্লোভেনিয়ায় জন্ম মেলানিয়ার। কৈশোরে পা দেওয়ার পরে মডেলিং শুরু করেন তিনি। ২০০১ সালে আমেরিকায় আসেন। আবেদন করেন গ্রিন কার্ডের জন্য। মার্কিন অভিবাসন নীতি মেনে পাঁচ বছর পরে এ দেশের নাগরিকও হন মেলানিয়া। কিন্তু তাঁর বাবা-মা আইন মাফিক এ দেশের নাগরিক হয়েছেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

কালকের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানও ঘটা করে করা হয়নি একেবারেই। নাভস দম্পতির কৌঁসুলি অবশ্য জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই মাত্র কুড়ি মিনিটের ছোটখাটো একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে প্রেসিডেন্টের শ্বশুর-শাশুড়িকে। ট্রাম্প দায়িত্বে আসার পরে নাভস দম্পতিকে মাঝেমধ্যেই মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গে থাকতে দেখা যায়। কখনও নিউ ইয়র্ক, কখনও পামস বিচ, আবার কখনও হেয়াইট হাউসে দেখা মেলে তাঁদের। অভিবাসন দফতরের এক অফিসার অবশ্য নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে পাঁচ বছর আগে গ্রিন কার্ডের আবেদন করেছিলেন মেলানিয়ার বাবা-মা। বাকি নিয়মগুলিও যথাযথ ভাবে মানায় এত দিনে তাঁদের নাগরিকত্ব স্বীকার করা হয়েছে।

মার্কিন দৈনিকগুলি জানাচ্ছে, যখন নাভস দম্পতির নাগরিকত্বের আবেদন পর্ব চলছে, ওই একই সময়ে ‘চেন মাইগ্রেশন’ নীতিকে তুলোধনা করেছেন ট্রাম্প। আনা নাভারনো নামে এক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ ট্রাম্পকে কটাক্ষ করে টুইট করেছেন, ‘‘আমার মনে হয় যখন এটা মেলানিয়ার পরিবারের বিষয়, তখন ব্যাপারটা পারিবারিক পুনর্মিলন। বাকিদের জন্য ‘চেন মাইগ্রেশন’ বন্ধ করতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Melania Trump Parent Citizenship USA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE