আগামী বছরের বসন্তে নতুন অতিথি আসতে চলেছে কেনসিংটন প্রাসাদে। ছবি: এএফপি।
মা-বাবা হতে চলেছেন তাঁরা। বিদেশ সফরে যাওয়ার আগে আজ এ কথা ঘোষণা করলেন ডিউক ও ডাচেস অব সাসেক্স হ্যারি এবং মেগান। আর সঙ্গে সঙ্গে বিতর্ক শুরু।
সোমবার কেনসিংটন প্রাসাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৯-এর বসন্তে নতুন অতিথি আসতে চলেছে। ৩৭ বছর বয়সি মেগানের শরীরস্বাস্থ্য ভাল আছে। জানানো হয়েছে, দেশবাসীর সঙ্গে এই সুখবর ভাগ করে নিতে পেরে রাজদম্পতি খুশি। কিন্তু তাতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ব্রিটেনবাসী। সে দেশে এখন সন্তানহারা মা-বাবাদের নিয়ে এক সপ্তাহব্যাপী সচেতনতা মূলক প্রচার চলছে। আজ ১৫ অক্টোবরই, ‘প্রেগন্যান্সি অ্যান্ড ইনফ্যান্ট লস রিমেমবারেন্স ডে’। যে সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় মারা গিয়েছে কিংবা শৈশবে চলে গিয়েছে, তাদের জন্য বছরের এই দিনটা। এর মধ্যে রাজপরিবারের এই ঘোষণায় কার্যতই আঘাত পেয়েছেন সন্তানহারা মা-বাবারা। তাঁদের কথায়, ‘‘আর একটা দিন অন্তত অপেক্ষা করতে পারতেন ওঁরা, এখনই ঘোষণা করতে হল!’’
সোশ্যাল মিডিয়া ভরে গিয়েছে একের পর এক মন্তব্যে। জো শার্পেন নামে এক মহিলার কথায়, ‘‘এমন একটা দিনে ওঁরা ঘোষণা করলেন। সত্যিই খুব মর্মস্পর্শী!’’ আর এক জন আবার টুইট করেছেন, ‘‘খুব অসংবেদনশীলের মতো কাজ হয়ে গেল না এটা!’’ জবাবে অন্থিয়া লেন্সবরো নামে এক মহিলা লিখেছেন, ‘‘একেবারেই তাই!’’
ব্রিটেন ছাড়াও কানাডা, আমেরিকা, নরওয়ে, ইটালি, কেনিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার আজকের দিনটা পালন করা হয়। সেখানে অস্ট্রেলিয়া সফরের ঠিক আগে এই দিনটাতেই রাজদম্পতির এমন ঘোষণায় স্তম্ভিত অনেকে। সন্তানহারা মা-বাবাদের একটি সংগঠনের ডিরেক্টর রুথ বেন্ডার অ্যাটিক বলেন, ‘‘আমার ধারণা, ওঁরা জানেন না। এ ছাড়া আর কী!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সন্তান হারানো কষ্ট যেমন আছে, তেমনই সন্তান আসার খবর দেওয়ারও অনেক আনন্দ রয়েছে। আমি বুঝতে পারছি, ওঁদের খারাপ লাগাটা। কিন্তু আমি নিশ্চিত, ওঁরা এ দিনটা সম্পর্কে জানেন না।’’ কেনসিংটন প্রাসাদের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy