Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

গর্ভপাত আইন নিয়ে বিতর্ক পোপের দেশে

আর্জেন্টিনা কি আয়ারল্যান্ড হবে— এ প্রশ্নের উত্তর জানতে অপেক্ষা আগামিকাল সকাল পর্যন্ত। আপাতত এ দেশে গর্ভাবস্থার ১৪ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করানোকে বৈধতা দিতে বিল নিয়ে বিতর্কে বসেছে আর্জেন্টিনার সেনেট। ক্যাথলিকপ্রধান আর্জেন্টিনা স্বয়ং পোপ ফ্রান্সিসেরও দেশ।

ছবি: রয়টার্স।

ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
বুয়েনস আইরেস শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৮ ০৩:১৪
Share: Save:

আর্জেন্টিনা কি আয়ারল্যান্ড হবে— এ প্রশ্নের উত্তর জানতে অপেক্ষা আগামিকাল সকাল পর্যন্ত। আপাতত এ দেশে গর্ভাবস্থার ১৪ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করানোকে বৈধতা দিতে বিল নিয়ে বিতর্কে বসেছে আর্জেন্টিনার সেনেট। ক্যাথলিকপ্রধান আর্জেন্টিনা স্বয়ং পোপ ফ্রান্সিসেরও দেশ। তাই গর্ভপাত বিতর্ক কোন পথে গড়ায়, তা জানতে বাড়তি আগ্রহ রয়েছে সব স্তরেই।

আগামিকাল যদি এই বিল পাশ হয়, তা হলে লাতিন আমেরিকার সব চেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশটিতে গর্ভপাত বৈধতা পাবে। যদিও এ দেশে গর্ভপাত-বিরোধী কড়া আইনটাই দস্তুর এবং ক্যাথলিক শিক্ষাদীক্ষা-ধ্যানধারণা কয়েক দশক ধরে যাবতীয় নীতি নির্ধারণ করে এসেছে। ধর্ষণের শিকার এবং অন্তঃসত্ত্বা মহিলার স্বাস্থ্যে কোনও ঝুঁকি তৈরি হলে তবেই আর্জেন্টিনার গর্ভপাতে সায় মেলে। নয়তো গর্ভপাত করাতে গিয়ে ধরা পড়লে তা অপরাধ, এখনকার আইনে কারাবাসও করতে হতে পারে।

এ দেশে গর্ভপাত আইনের রাশ আলগা করতে বিতর্ক যে এই প্রথম হচ্ছে, তা নয়। তবে এই আলোচনা গতি পায় ২০১৫ সালে। মহিলাদের উপরে হিংসার বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে ‘নট ওয়ান লেস’ নামে আন্দোলন শুরু হয়েছিল সে বছর থেকেই। সে সময় গর্ভপাতকে বৈধতা দেওয়ার জন্য সওয়ালও করা হয়। যার প্রতীক হিসেবে আসে সবুজ রুমাল। গত কয়েক মাসে গর্ভপাতের অধিকারের পক্ষে গলা তুলতে শুরু করেন অনেকেই। গত জুন মাসে এ নিয়ে বিরাট জমায়েতও হয়েছে। এর পরে গর্ভপাতকে আইনি বৈধতা দিতে এ দেশের কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষ সক্রিয় হয়। কিন্তু সমর্থনের পাশাপাশি বিরোধীদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়।

মূলত গ্রামের দিকে বিরোধের ঢেউ। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মত, গর্ভপাতে নিষেধ যেমন আছে, তেমনই থাকা উচিত। নিম্ন কক্ষ বিলে সায় দেওয়ার কিছু দিন পরেই পোপ ফ্রান্সিস গর্ভপাতের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, ‘‘ভ্রূণের শরীরে কোনও ত্রুটির জন্য গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত আসলে নাৎসি যুগে ‘শুদ্ধ জাতি’ তৈরির তত্ত্বের সঙ্গে তুলনীয়। এটা যন্ত্রণাদায়ক।’’ দেশের রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট মোরিসিয়ো মাকরিও ব্যক্তিগত ভাবে গর্ভপাতের বিরোধী। তবে তিনি বলেছেন, কংগ্রেসে গর্ভপাতের পক্ষে বিল পাশ হলে তিনি সই করে দেবেন।

মাস কয়েক আগে আয়ারল্যান্ডে গর্ভপাতকে বৈধতা দেওয়ার গণভোটে জিতেছেন হ্যাঁ-পন্থীরা। এ বার আর্জেন্টিনা কোন পথে হাঁটে, সে দিকেই চোখ সবার।

সারা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়ে বাংলায় খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE