শেরিন ম্যাথিউস। —ফাইল চিত্র।
জল্পনা ছড়াল বছর তিনেকের ভারতীয় দত্তক কন্যা শেরিন ম্যাথিউসের শেষকৃত্য নিয়েও। ময়না-তদন্ত শেষে আজই তার দেহ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ডালাসের কাউন্টি মেডিক্যাল টিম। কিন্তু কার হাতে শেরিনের দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খোলেননি কোনও কর্তাই।
খুদে শেরিনের শেষকৃত্য করার অধিকার তাদের দেওয়া হোক বলে গোড়া থেকে দাবি করে আসছিলেন টেক্সাসের রিচার্ডসন সিটির বাসিন্দারা। তাঁদের তরফে সম্প্রতি একটি পিটিশন দায়ের করেন স্থানীয় যুবক ওমর সিদ্দিকি। জানা গিয়েছে, গত কাল পর্যন্ত তাতে হাজার পাঁচেক সইও জমা পড়ে। কিন্তু সেই আর্জিতে আদৌ কাজ হল কি না, জানা যায়নি।
শেরিন যে হেতু দত্তক কন্যা, তাই আইন অনুযায়ী তার শেষকৃত্য ম্যাথিউস দম্পতিরই করার কথা। শেরিনের পালক বাবা ওয়েসলি এখন জেলে। তাই এ ক্ষেত্রে দেহটি পালক মা সিনির কাছেই যাওয়া উচিত। এবং তিনি অনুমতি দিলে তবেই অন্য কেউ শেষকৃত্য করতে পারেন। কিন্তু এমন কিছু হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত খবর নেই। এ দিকে শেরিনের মৃত্যু কী ভাবে ও কখন হয়েছিল, সেই রিপোর্ট পুরোটাও আসেনি। বিহারের অনাথআশ্রম থেকে বছরখানেক আগে টেক্সাসে ঠাঁই পাওয়া শেরিনের মৃত্যু ঘিরে তাই শুধুই ধোঁয়াশা।
রিচার্ডসন সিটির বাসিন্দারা তবু স্মৃতি আঁকড়েই থাকতে চাইছেন। যে গাছের নীচে মেয়ে শেরিনকে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন বলে প্রথমে বলেছিলেন ওয়েসলি, সেখানে গত কয়েকদিন ধরেই জমছে খেলনা আর ফুলের স্তূপ। শেরিন নিখোঁজ হওয়ার দু’সপ্তাহ পরে যে নালায় তার দেহ মিলেছিল, সেটিকেও স্মারক করে রাখতে চাইছেন পড়শিরা। এরই মধ্যে আবার শেরিনের দেহ ভারতে পাঠানো হবে বলে জল্পনা রটে গিয়েছিল। বস্তুত তা ঠেকাতে চেয়েই আদালতে জমা পড়ে ওই পিটিশন। হিউস্টনে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অনুপম রায় যদিও এই গুজবের কথা মানতে চাননি। গোড়া থেকেই শেরিন-রহস্যের উপর কড়া নজর রাখছেন তিনি। এর পরে কী হয়, তা-ও জানতে তাঁকে আজ নির্দেশ দিয়েছেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy