Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

স্পেনে অল্প স্বস্তি, আতঙ্কে আমেরিকা 

আমেরিকার সঙ্গে করোনাভাইরাস নিয়ে নানা দ্বন্দ্বের আবহেও নিউ ইয়র্কের জন্য ১ হাজার ভেন্টিলেটর দিয়েছে চিন।

করোনা আক্রান্তকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে।—ছবি এএফপি।

করোনা আক্রান্তকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে।—ছবি এএফপি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২০ ০৪:৪৯
Share: Save:

লড়াই এ বার স্পেন থেকে সরছে আমেরিকার দিকে। মার্চ থেকে শুরু হওয়ার পরে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে স্পেন সবে একটু স্বস্তির শ্বাস ফেলছে। স্পেনে আজ ৬৭৪ জন মারা গিয়েছেন বলে দাবি, যা গত তিন দিনের হিসেব ধরলে ক্রমশ কমছে। মৃত্যুর হার কমেছে ফ্রান্সেও। ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ৩৫৭ জন। তবে আমেরিকা সব চেয়ে কঠিন সপ্তাহের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। আমেরিকায় শুধু শনিবারই ১৩৪৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। যা দৈনিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে রেকর্ড। খোদ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও মানছেন, দুর্ভাগ্যবশত আগামী সপ্তাহে অনেক মৃত্যু দেখবে আমেরিকা। এখন মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৮ হাজারের কাছাকাছি। শুধু নিউ ইয়র্ক প্রদেশেই মৃত ৪১৫৯! গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ৫৯৪ জন।

আমেরিকার সঙ্গে করোনাভাইরাস নিয়ে নানা দ্বন্দ্বের আবহেও নিউ ইয়র্কের জন্য ১ হাজার ভেন্টিলেটর দিয়েছে চিন। চিন পাশে দাঁড়ানোয় ধন্যবাদ জানিয়েছেন নিউ ইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো।

এর মধ্যে একটি মার্কিন দৈনিকের রিপোর্টে আবার দাবি, চিন যখন তাদের দেশে করোনার প্রকোপের কথা গোটা বিশ্বকে জানিয়েছিল, তার পর পরই অন্তত ৪ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষ চিন থেকে উড়ানে সরাসরি আমেরিকায় ঢুকেছিলেন। বিভিন্ন দেশের নাগরিক ছিলেন যাত্রী-তালিকায়। বেশ কয়েক হাজার এসেছিলেন চিনে করোনার ভরকেন্দ্র উহান থেকেও। ওই রিপোর্টে দাবি, এত মানুষ চিন থেকে এলেও লস অ্যাঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকো, নিউ ইয়র্ক, সিয়্যাটলের মতো বিমানবন্দরে যথাযথ পরীক্ষা হয়নি। এটা জানুয়ারির গোড়ার দিককার কথা। চিন তখনও এই রোগকে নিউমোনিয়ার প্রকোপ বলেই দাবি করেছিলে বিশ্বের কাছে।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের অন্তঃসত্ত্বা সঙ্গিনী ক্যারি সাইমন্ডস আজ জানিয়েছেন, কোভিড-১৯-এর উপসর্গ দেখা দেওয়ায় এক রকম শয্যাবন্দি ছিলেন। বরিস আক্রান্ত হওয়ার সময় থেকেই আলাদা ছিলেন তিনি। ৩২ বছর বয়সি ক্যারির দাবি, এখন সেরে উঠেছেন, আগের মতো দুর্বল লাগছে না। আজই দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তৃতা দিয়েছেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথ। এই কঠিন সময়ে মানুষের যন্ত্রণা বুঝতে পারছেন, জানিয়েছেন ৯৩ বছরের রানি। পাশাপাশি ধন্যবাদ দেন জাতীয় পরিষেবার সঙ্গে জড়িত সব কর্মীকেও। ব্রিটেনে এখন মৃতের সংখ্যা ৫ হাজারের কাছাকাছি। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ৬১৯ জন।

করোনার প্রকোপে বিভিন্ন দেশ যখন লকডাউনের মেয়াদ বাড়াতে ব্যস্ত, তখন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি জানিয়েছেন, যে সব ক্ষেত্রে তাঁরা নিয়ন্ত্রণ চালু করেছিলেন, আগামী দিনে সেগুলি তুলে নেওয়া হবে। ইরানে ১৫১ জন মারা গিয়েছেন আজ। মৃতের মোট সংখ্যা ৩৬০৩। তবুও ১৮ এপ্রিল থেকেই তেহরানে কম ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে নিষেধ উঠে যাবে বলে প্রেসিডেন্টের দাবি। তাঁর কথায়, “যে পারছে, বিদেশি সংবাদমাধ্যমের কাছে যা ইচ্ছে বলে দিচ্ছে। আর ওরা সেটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে।”

(তথ্য সহায়তা: শ্রাবণী বসু)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Death Spain USA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE