ছবি রয়টার্স।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ১ থেকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার মার্কিন নাগরিক মারা যেতে পারেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে— এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল হোয়াইট হাউস। সারা বিশ্বে এখন সব চেয়ে বেশি করোনা-আক্রান্ত রয়েছেন আমেরিকায়— ২ লক্ষেরও বেশি। মারা গিয়েছেন সাড়ে ৪ হাজারের উপরে। করোনায় মৃতের সংখ্যার নিরিখে চিন, ফ্রান্স, ইরানকে এখন পিছনে ফেলে দিয়েছে আমেরিকা। আক্রান্তের সংখ্যার হিসেবে একা নিউ ইয়র্ক পেরিয়ে গিয়েছে গোটা চিনকে। নিউ ইয়র্কে এখন আক্রান্ত ৮৩,৭১২।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, ‘‘সব নির্দেশ মেনে চলুন, এখন জীবন-মরণের প্রশ্ন।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘আগামী দু’সপ্তাহে খুবই কঠিন দিন আসছে।’’ হোয়াইট হাউসে করোনা নিয়ে ট্রাম্পের তৈরি টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডেবোরা ব্রিক্স গত কাল বলেন, ‘‘যথাযথ পদক্ষেপ করা না-হলে বিপুল মৃত্যুর সাক্ষী হতে হবে আমেরিকাকে।’’ তার পরেই সাংবাদিকদের সামনে কিছুটা গম্ভীর মুখে ট্রাম্পকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘সামনে কঠিন দিন। আমি চাই, প্রত্যেক মার্কিন নাগরিক তৈরি থাকুন। দু’সপ্তাহ পরে বিশেষজ্ঞেরা যেমন বলছেন, হয়তো সুড়ঙ্গের শেষের আলোটা আমরা দেখতে পাব। কিন্তু তার আগের সময়টা খুবই যন্ত্রণাদায়ক হতে চলেছে। মানুষকে আশ্বাস দিতে চাই। আমি দেশের চিয়ারলিডার!’’
ইরানে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩০০০ পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও নিষেধাজ্ঞা তোলেনি আমেরিকা— সেই নিয়ে ওয়াশিংটনকে দুষেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি। তাঁর দাবি, ওয়াশিংটন এখন বোঝাতে পারত, ওরা ইরানিদের বিরুদ্ধে নয়। সে দিক থেকে একটা ‘ঐতিহাসিক সুযোগ’ হারাল আমেরিকা। যদিও কালই মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো ইঙ্গিত দেন যে, ইরানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলা হতে পারে।
স্পেনে মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়েছে। শুধু বুধবার ৮৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই সূত্রে গোটা ইউরোপে ৩০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে মৃতের সংখ্যা। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস বলেছেন, ‘‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এত বড় পরীক্ষার মুখোমুখি হয়নি বিশ্ব।’’
স্পেনে এখন ১ লক্ষের বেশি মানুষ আক্রান্ত। তবে বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সংক্রমণের হার কমেছে। গত কাল মৃতের সংখ্যা ছিল ৮৪৯। আজ তার চেয়ে সামান্য বেশি। গত পাঁচ দিন ধরেই এখানে রোজ ৮০০-র উপরে মানুষ মারা যাচ্ছেন। তবে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দাবি, সংক্রমণের হার ১২ শতাংশ কমেছে। গত দু’সপ্তাহ লকডাউনে আছে স্পেন। এখনও সব চেয়ে বিধ্বস্ত ইটালিই। মৃত ১২ হাজার ৪২৮ ছুঁয়েছে। আক্রান্ত ১ লক্ষের উপরে। ইটালিতেও দৈনিক সংক্রমণের হার ২.৮ শতাংশ কমেছে বলে দাবি।
ব্রিটেনে এক দিনে এই প্রথম ৫৬৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মোট মৃত্যু ২৩৫২। নতুন করে আক্রান্ত ৪ হাজারের উপরে মানুষ। করোনা-আক্রান্ত প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ভিডিয়ো কনফারেন্স করে কী ভাবে মন্ত্রিসভার বৈঠক সারছেন, তার ছবি শেয়ার করেছেন টুইটারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy