রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। রয়টার্সের ফাইল চিত্র।
করোনা ভাইরাসের জেরে বাকিংহাম প্যালেস ছাড়তে হল রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথ ও প্রিন্স ফিলিপকে। আলাদা করে রাখার জন্য উইনসর ক্যাসলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে তাঁদের। করোনার প্রভাবে ব্রিটেনে মৃত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১। সংক্রমিত হয়েছেন ১১৪০ জনেরও বেশি। এই পরিস্থিতিতে ৭০ বছরের বেশি বয়সিদের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবেই আইসোলেশনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্যসচিব ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বয়স্কদের পুরোদস্তুর আইসোলেশনে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এ ক্ষেত্রে বয়স্কদের আগামী চার মাস পর্যন্ত বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করতে পারে সরকার। বর্তমান প্রজন্মের কাছে করোনা ভাইরাস সবচেয়ে বড় জনস্বাস্থ্য বিপর্যয় বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। আগামী সপ্তাহে সরকার ‘এমার্জেন্সি বিল’ আনতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন হ্যানকক।
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, জরুরি অবস্থার কথা মাথায় রেখে ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা (এনএইচএস) দফতরকে সাহায্যের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য বিষয়ক দ্রব্য প্রস্তুত করে না, এমন সংস্থাগুলিকেও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে অনুরোধ করছে প্রশাসন।
রানির বাকিংহাম প্রাসাদ ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে কয়েকটি জায়গায়। কয়েকটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, সপ্তাহান্তে নিয়মিত কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবেই উইনসর ক্যাসলে গিয়েছেন রানি। আবার একাংশের ব্যাখ্যা, রানিকে কবে বাকিংহাম প্যালেসে ফেরানো হবে তা যাবতীয় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে রাজপরিবার সূত্রের খবর, রানি ভাল রয়েছেন। বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের তরফে ইঙ্গিত, প্রয়োজনে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কোয়রান্টিনে রাখার জন্য প্রিন্স ফিলিপ ও দ্বিতীয় এলিজ়াবেথকে নরফোকের রয়্যাল সানরিংহ্যাম এস্টেটেও রাখা হতে পারে।
ইতিমধ্যেই বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণ ভাইরাস। অতিমারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে বাকিংহাম প্যালেসের তরফে জানানো হয়েছে, রানির সমস্ত কর্মসূচি পর্যালোচনা করে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy